চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লালমনিরহাটে নেপিয়ার জাতের ঘাসের ভাল ফলন হয়েছে। ফলে নেপিয়ার ঘাস চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে ঘাস চাষ লালমনিরহাটে দিন পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ লালমনিরহাটে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে। এই ঘাস গবাদি পশুকে খাওয়ানো হয়।
ফলে গরু মোটাতাজা হয় এবং গাভী গরুর প্রচুর দুধ হয়। বর্তমানে এই ঘাস পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। ফলে এক মুহূর্ত বসার সময় নেই কৃষকের হাতে। কাটা ঘাস গবাদি পশুকে খাওয়ানো হয়।
জমিতে ঘাস বীজ রোপণের পর এই ঘাস বড় হলে কাটা হয় এবং কিছু দিন পর এমনি থেকে আবার ঘাস গজায়। সার ও পানি সেচ দিলে ঘাস তাড়াতাড়ি বড় হয়। লাভজনক বলে কৃষকরা নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এক বার কাটার পর আবার এক থেকে দেড় মাস পর ঘাস কাটা যায়। ঘাস চাষীরা নিজেদের গবাদি পশুকে এ ঘাস খাওয়ান। লালমনিরহাটে অনেক গরুর খামার গড়ে উঠেছে। নেপিয়ার ঘাস চাষের ফলে খামার মালিকরা উপকৃত হচ্ছে।
মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের হযরত আলী, কোদালখাতা গ্রামের রুহুল আমিন জানান, নেপিয়ার জাতের ঘাস আমিও চাষ করেছি। এটা লাভজনক ফসল। এতে করে বাড়তি খাদ্যের চাহিদা কমেছে। গরু-ছাগল পালনের জন্য এ ঘাস উপকারী।