লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার। যা (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটর) যা বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিন্টার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোর থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপরে থাকলেও সকাল ৯টার পর থেকেই বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ এবার বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন।
পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার প্রায় ১৫হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আছেন। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউপির প্রায় ১৫হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে আছেন। এ পানি দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেনা।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় আর বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে উজানের ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছে। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ বেড়েছে বলে দাবি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানির প্রবাহ বেড়েছে। বর্তমানে সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে।