সীমান্ত ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাট। এই জেলা বরাবরই মাদকের সয়লাব। ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে দেশে ঢুকছে মাদক। সেগুলো আবার বিভিন্ন সিন্ডিকেট হয়ে দেশের বিভিন্ন খানে চলে যায়। আর এই কাজে এখন প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ব্যবহার বেড়েছে। চক চকে গাড়িতে মাদকের চালান!
বিশেষ করে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা হয়ে রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর মাদকের নিরাপদ রুট হিসেবে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এই মাদকের চালানগুলোকে ঘিরে বহু রহস্য লুকিয়ে আছে।
জানা যায়, গত ১ জুলাই কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের সিরাজুল মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে ৩০কেজি গাঁজাসহ জাহিদ হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট গোয়েন্দা পুলিশ। একই স্থান থেকে ২৩ জুন একটি প্রাইভেট কার তল্লাশি চালিয়ে ২৩কেজি গাঁজা উদ্ধার করে এবং গাড়ির চালক তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ২৬ জুলাই লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখার বিশেষ অভিযানে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ সংলগ্ন বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কে মিজানুর রহমান চালিত একটি প্রাইভেট কার এর ভিতর থেকে একশত বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল আটক করায় লালমনিরহাট জেলা জুড়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ফেন্সিডলসহ আটকৃত প্রাইভেট কারের নম্বর ঢাকা মেট্টো খ ১৩-০৮৬৭, গাড়ির মূল মালিক নিয়ে ধূয়াশা চলছে। এই গাড়ির মূল মালিক সম্পর্কে জানতে বিআরটিএর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা পরে জানাবেন বলে এই নিউজ লেখার আগ পর্যন্ত জানাতে পারেনি।
সূত্র মতে জানা যায়, মাইক্রোবাস হতে জেলার হাতীবান্ধার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে ৯ জুন রাতে ২৫কেজি গাঁজাসহ চালক সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করে, ২৮ মে আদিতমারীর খাতাপাড়া এলাকায় ৮কেজি গাঁজাসহ আতিক হাসানকে গ্রেফতার করে ডিবি, একই মাসের ১৫ মে ৬কেজি গাঁজাসহ লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার করে।
অনেকেই বলছেন, ব্যস্ত প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাসে এখন অভ্যস্ত মাদকের চালান গুলো কার বেশি ভাগ সময় এই মূল মালিকের নাম জানা যায় না!
আরও কয়েকটি মাধ্যমে জানা যায়, কালীগঞ্জের চাপারহাটে বিভিন্ন ট্রাকে করে বাঁশ লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়, এই বাঁশের ভিতর বিশেষ কায়দায় মাদক যায়। সেই সাথে একই কায়দায় মাদক যায় আদিতমারী বামোনের বাসা, আমেনা বাজার, হাজীগঞ্জ, ভেলাবাড়ি ও দূর্গাপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে। সেই সাথে চাপারহাট হয়ে ঢাকাগামী নাইট কোর্স বাসগুলোতে মাদক পার হয় বলে জানা যায়।
এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রত্নাই থিয়েটারে সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামীম আহমেদ বলেন, এখন তো শুনতেছি মাদক মানেই কালীগঞ্জের নাম, শহর থেকেও নাকি মাদক খেতে সেখানে ছুটে যায়, এছাড়াও সদরের তিস্তা টোল প্লাজাতেও নেই আগের মতো পুলিশের গাড়ি চেকিং এর ব্যবস্থা, যারা কদিন আগেও চলতে পারেনি তারাও এখন প্রাইভেট কারের মালিক! জেলাটা এমন হয়ে গেছে যে রাম রাম জপনা পর মাল আপনা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, প্রদীপের নীচে অন্ধকার
ক্ষমতার পিছে চাটুকারের কারনে এখন কিছু লোক অবৈধ উপার্জনের জন্য কার ও মাইক্রোবাসের মালিক হয়ে মাদক পারাপার করছেন সে বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারী কম থাকায় কেউ কেউ হিরহির করে আঙ্গুল ফুলে কলার গাছ হচ্ছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কি এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে পারি এসপি স্যারের অনুমতি লাগবে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.