লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে বিদায়ী (২০২১-২২) অর্থবছরে ৪৫কোটি ৯০লক্ষ ৭৯হাজার টাকার রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ঘাটতির পেছনে স্থলবন্দরে সক্ষমতার অভাব এবং পণ্য পরিবহন প্রতিবন্ধকতাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১শত ৩৭কোটি ৮৩লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ৯১কোটি ৯২লক্ষ ২১হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
অর্থবছরের জুলাইয়ে ৫কোটি ৬৪লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬কোটি ৬৬লক্ষ ৮১হাজার টাকা, আগস্টে ৯কোটি ৬২লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫কোটি ৮৩লক্ষ ৮২হাজার টাকা, সেপ্টেম্বরে ১৩কোটি ৯৭লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৩কোটি ১৭লক্ষ ৮৪হাজার টাকা, অক্টোবরে ৯কোটি ৪৪লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৭কোটি ৪২লক্ষ ১হাজার টাকা, নভেম্বরে ৮কোটি ৪০লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪কোটি ২লক্ষ ৭৪হাজার টাকা, ডিসেম্বরে ১৮কোটি ২১লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯কোটি ২০লক্ষ ১৪হাজার টাকা, এ বছরের জানুয়ারিতে ১০কোটি ৫৮লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮কোটি ২লক্ষ ৭৪হাজার টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১০কোটি ৮৩লক্ষ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৭কোটি ৮৯লক্ষ ৮৪হাজার টাকা, মার্চে ৯কোটি ৪০লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮কোটি ৮৫লক্ষ ৭হাজার টাকা, এপ্রিলে ১২কোটি ৯৪লক্ষ টাকার বিপরীতে ৬কোটি ৪৫লক্ষ ৮৩হাজার টাকা, মে মাসে ১৩কোটি ৫৭লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬কোটি ৪৬লক্ষ ২৯হাজার টাকা ও জুনে ১৫কোটি ২৩লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৭কোটি ৩৩লক্ষ ৬৬হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক তারেক ইসলাম বলেন, রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি বুড়িমারী পয়েন্ট থেকে বেলতলি বাজার পর্যন্ত ৮কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে উন্নীত করা জরুরি।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সায়েদুজ্জামান সাঈদ বলেন, এ বন্দর দিয়ে কমার্শিয়াল আইটেম পণ্য আমদানি হয় না। পাথরের পাশাপাশি কিছু ভুসি, খৈল, প্লাউড, লাইম স্টোন, ভুট্টা, গম, পাটবীজ ও ঘাসবীজ আমদানি হয়ে থাকে। ভুট্টা ও গম আমদানির সময় পাথর আমদানি বন্ধ থাকে। কারণ স্থলবন্দরে পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট করার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর জন্য আরও জায়গা দরকার। বন্দর কর্তৃপক্ষের হল্টেজ চার্জ ও গাড়ি ভাড়া ড্যামারেজ থেকে ব্যবসায়ীরা নিজেদের আর্থিক ক্ষতি রক্ষার জন্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে রাজস্ব আদায় কম।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার জেএম আলী আহসান বলেন, রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে বড় বাধা আমদানি-রফতানি গাড়ি রিসিভ করার ক্ষেত্রে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের একটিমাত্র লেন। যেখানে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে এবং পর্যাপ্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। ওয়্যারহাউজ শেড না থাকা, লোডশেডিং, কাস্টমসের নির্ধারিত এলাকায় অপর্যাপ্ত জায়গার ফলে রাজস্ব আদায় কিছুটা কমেছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.