লালমনিরহাটে জোড় জবদস্তি করে জমি দখল ও ঘর পুরে দেয়ার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
রোববার (১৭ জুলাই) আবু সাদাত মোঃ জাহিদ স্বাক্ষরিত কালীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে এ অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আবু সাদাত মোঃ জাহিদ (৪২), পিতা- মোঃ সেরাজুল হক, সাং- দক্ষিণ মুশৱত মদাতী, ৯নং ওয়ার্ড, থানা- কালীগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাট, এই মর্মে এজাহার করিতেছি যে, কালীগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ মুশরত মদাতী মৌজাস্থ নিম্ন তফশীল বর্ণিত ৩৩ শতক জমি নিজ দখলে ভোগ করিয়া আসিতেছি। উক্ত জমি ভোগ দখল করা অবস্থায় আসামী ১। এমদাদুল হক (৫০), পিতা- মৃত সোলেমান গনি, ২। মোঃ সোহাগ মিয়া (২২), পিতা- মোঃ আজিজুল হক, ৩। মোঃ আজিজুল হক (৫৫), ৪। মোঃ আমিনুর রহমান (৫৫), উভয় পিতা- মৃত সোলেমান গনি, ৫। মোঃ খোরশেদ আলম (৪০), পিতা- মোঃ আমিনুর রহমান, ৬। মোছাঃ সাহিদা বেগম (৪৮), স্বামী- মোঃ আজিজুল হক, ৭। মোছাঃ সোহাগী বেগম (১৯), স্বামী- মোঃ মিঠুল মিয়া, সর্ব সাং- দক্ষিণ মুশরত মদাতী, ৯নং ওয়ার্ড, থানা- কালীগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাটগণ প্রায় এক বছর পূর্ব হইতে আমার দখলীয় আবার দখল করার পায়তারা করলে আসামীগানের সহিত উক্ত জমির বিষয়কে কেন্দ্ৰ করিয়া আমার বিরোধের সৃষ্টি হয়। উক্ত বিরোধের কারণে ১৭/০৭/২০২২ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত সকল আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি সোটা, লোহার রড, ধারালো দা, ছোড়া ইত্যাদি অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতা দলবদ্ধ হইয়া আমার বসত বাড়ীর অনুমান ৫০ গজ পূর্বে পার্শ্বে আমার দখলীয় জমিতে থাকা পুকুরের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে এবং উপরোক্ত আগামীগণ আমার জমিতে থাকা পুকুর হইতে জাল দিয়া অনুমান ৩০ কেজি মাছ মারিয়া যাহার অনুমান মূল্য ৬,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। আমি তাহা দেখিয়া উক্ত পুকুরে গিয়া উপরোক্ত আসামীগণকে আমার জমিতে থাকা পুকুর হইতে মাছ মারার কারণ জিজ্ঞাসা করা মাত্রই উপরোক্ত সকল আগামীগণ আমার উপর চড়াও হইয়া ধারালো দা, ছোড়া দিয়া আমাকে কোপাইয়া খুন জখম করার উদ্দ্যত হইলে, আমি ঘটনার বেগতিক দেখিয়া দৌড়াইয়া আমার বসত বাড়ীর ভিতরে গিয়া প্রাণে রক্ষা পাই। ঐ সময় উপরোক্ত সকল আসামীগণ আমাকে প্রাণে মারিয়া ফেলার উদ্দেশ্যে আমার পিছু ধাওয়া করিয়া আমার বসত বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করিলে আমি বাশার জন্য আমার বসত বাড়ী আত্মগোপন করি। উক্ত সুযোগে আসামীগণ আমার বসত বাড়ীর পশ্চিম মিটার পূর্ব দুয়ারী ঘরের ভিতরে প্রবেশ করিয়া আমাকে খোঁজা খুঁজি করিয়া না পাইয়া ৩নং আসামী আমার ঘরের ভিতরে থাকা ওয়ার ড্রপের ড্রয়ারের তালা লোহার বড় দিয়া ভাগিয়া ড্রয়ারের ভিতরে থাকা আমার সংসারের গতি ১,৮৫,০০০/- টাকা ড্রয়ারের ভিতর হইতে বাহির করিয়া নেয়। ১নং আসামী ড্রয়ারের ভিতরে থাকা আমার স্ত্রী মেহের বানুর ০২ ভরি স্বর্ণালংকার যাহার অনুমান মূল্য ১,৬০,০০০/- টাকা ড্রয়ার হইতে বাহির করিয়া নেয়। তখন আমার মা শ্যামলী বেগম তাহা দেখিয়া আগাইয়া গিয়া আসামীগনের কাজে বাধা দিলে ১নং আসামীর প্রত্যক্ষ হুকুমে ২নং আসামী আমার মা শ্যামলী বেগমের পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করতঃ শ্লীলতাহানি ঘটার এবং সকল আসামীগণ আমার মা শ্যামলী বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের লাঠি দিয়া এলোপাতারীভাবে মারপিট করিয়া ফুলা জখম করিয়া আসামীগন আমার মা শ্যামলী বেগমের নিকট আমার কথা জিজ্ঞাসা করিলে আমার মা আমার কথা বলিতে পারেনা বলা মাত্রই উপরোক্ত সকল আসামীগণ উক্ত ঘর হইতে আমার মাকে বাহির করিয়া দিয়া সকল আসামীগন উক্ত ঘর হইতে বাহির হইয়া আমার বসত বাড়ীর উত্তর ভিটার দক্ষিণ দুয়ারী ঘরের টিনের চাটিবেড়া ও কাঠের দরজা জানালা লাঠি সোটা ও ধারালো দা, ছোড়া দিয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং ১-৪নং আসামীগন একে অন্যের সহযোগিতায় গ্যাস লাইট দ্বারা উক্ত চার চালা টিনের ঘরে আগুন লাগাইয়া দিলে উক্ত আগুনে মালামালসহ আমার টিনের ঘরটি পুড়িয়া অনুমান ৮০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। তখন আমি ও আমার যা তাহা দেখিয়া চিল্লাহল্লা করিলে সাক্ষী ১। মোঃ শাকিল মিয়া, পিতা- আবু সাদাত মোঃ জাহিদ, ২। মোছাঃ মনিরা বেগম, পিতা- সিরাজুল হক, ৩। মাহবুব হক, পিতা- বদি উদ্দিন, সর্ব সাং- দক্ষিণ মুসরত মদাতী, ৯নং ওয়ার্ড, থানা- কালীগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাটসহ আরো অনেকে ঘটনাস্থলে আসিয়া সাক্ষীগণ ও স্থানীয় লোকজনসহ আমি বিষয়টি কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ উক্ত সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসিয়া উক্ত ঘরের আগুন নিভাইয়া ফেলে। উপরোক্ত সকল আসামীগন সাক্ষীগনসহ স্থানীয় লোকজনের সামনে প্রকাশ্য বলে যে, আসামীগন আবারো সুযোগমত পাইলে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদেরকে মারপিটসহ খুন জখম করিবে মর্মে বিভিন্ন ধরনের ভয়তীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করিয়া উক্ত টাকা ও স্বর্ণালংকার লইয়া সকল আসামীগন ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। সাক্ষীগণসহ আমি বিষয়টি স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দাখিল করিতে বিলম্ব হইল।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.