লালমনরিহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে দুই ভাইয়ের লাগানো ৩শত ৫২টি মাল্টা গাছের চারা রাতের আঁধারে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের উত্তর গোপাল রায় এলাকার মমিনুর ইসলাম ও আমিনুর রহমানের মাল্টা ও পেঁপে বাগানে এই ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০-১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দুই ভাই।
জানা গেছে, এলাকার হক নার্সারির প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হকের (৬৬) দুই ছেলে মমিনুর ইসলাম ও আমিনুর রহমান স্থানীয় একটি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। তারা ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির জমি লিজ নিয়ে মাল্টা, কমলা, লিচু, পেয়ারা, আম, লটকনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এসব বাগানে পাশাপাশি সজনে, পেঁপে, শসা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজিও চাষ করেন। এর মধ্যে কাকিনা ইউনিয়নের সুকানদিঘী (পাঁচ মাথা) এলাকার স্থানীয় রেজাউল ইসলামের ১শত ৬২শতাংশ জমি ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ২০ বছরের জন্য লিজ নেয় আমিনুর ও মমিনুর। একই বছরে ওই জমিতে ৬০০ মাল্টা ও ৬০০ পেঁপে গাছের চারা রোপণ করেন। এই বাগানের ৩৫২টি মাল্টা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বাগান মালিক মমিনুর ইসলাম বলেন, আমি মঙ্গলবার সকালে আট শ্রমিক সঙ্গে নিয়ে বাগানে সার দেওয়ার জন্য যাই। গিয়ে দেখি মাল্টা গাছ গুলো শোয়ানো। কাছে গিয়ে দেখতে পাই কে বা কারা কেটে দিয়েছে।
তাদের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় কারও কোনও শত্রুতা নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, বাগানের এই অবস্থা দেখে আমি কয়েক মিনিট কথা বলতে পারিনি। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হলে বিষয়টি বৃদ্ধ বাবাকে জানাই। এরপর জমির মালিক, স্থানীয় লোকজন, কালীগঞ্জ থানা পুলিশ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। পরে এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ টি এম গোলাম রসুল বলেন, মাল্টা গাছ কাটার ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত অপরাধীকে খুঁজে আইনের আওতায় নেওয়ার পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, বাগান মালিকের অভিযোগ পেয়েছি। গাছের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা হতে পারে না। এটি অত্যন্ত খারাপ কাজ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।