লালমনিরহাট সদর উপজেলার টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পের ১কোটি ৬২লক্ষ টাকার বরাদ্দ ৩০ জুন (জুন ক্লোজিংয়ে) ফেরত গেছে। এ নিয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্পের স্টেক হোল্ডারগণ পাল্টা-পাল্টি অভিয়োগ তুলছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ ছাড় দেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা গেছে, কয়েক শত উন্নয়ন প্রকল্প লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে গ্রহণ করা হয়। পিআইওর অধীনে এসব প্রকল্প গত ১৪ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময় ছিল। প্রকল্প স্টেক হোল্ডারগণ প্রকল্পের বিল দাখিল করতে পারেনি।
পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্প নামমাত্র কাজ করে চূড়ান্ত বিল দাখিল করে ছিল। প্রকল্প পরিদর্শন করে অনিয়ম পাওয়া যায়। পূনরায় কাজ শেষ করতে বলা হয়। এই নিয়ে প্রশাসন ও প্রকল্প চেয়ারম্যানদের সাথে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। প্রকল্পের চেয়ারম্যানগণ রাজনৈতিক নেতাকর্মী। পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে ইউএনও ২৮ জুন রাত সাড়ে ১০টায় বাসায় বসে বিলে স্বাক্ষর করে। ইউএনও’র বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ তুলেছে নেতাকর্মীগণ।
দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিলিং সার্ভার নির্দিষ্ট সময়ের পর লক হয়ে গেছে। প্রকল্পের বিপরীতে ১কোটি ৬২লক্ষ টাকা ছাড়া দেয়া সম্ভব হয়নি।
একটি সূত্র জানায়, কাজ না হলে ইউএনও চুড়ান্ত বিলে কেমনে ২৮ জুন স্বাক্ষর করে। বিষয়টি রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, ৩০ জুন প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ দিন ধার্য্য ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে বিল জমা দিতে পারেনি। তাই অর্থ ফেরত গেছে।