আলোর মনি রিপোর্ট: একটানা ১১দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ৩৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীর পানিও বেড়েছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো সূত্র জানায়, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার (১৩ জুন) সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পয়েন্টের পাউবোর গেজ পাঠক নুর ইসলাম জানান, বর্তমান আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে পানিপ্রবাহ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তিস্তার উজান ভারত থেকেও পানি নেমে আসছে। এজন্য বন্যার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় বোরো ধান চাষি ও পাউবো কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৈত্র-বৈশাখে প্রায় পানিশূন্য তিস্তা গত শুক্রবার (৩ জুন) থেকে সোমবার (১৩ জুন) পর্যন্ত ১১দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলে যেন যৌবন ফিরে পেয়েছে। নদীর দুই তীরে স্রোতের তালে তালে ঢেউয়ের কলকল শব্দে পানি বিপৎসীমাও ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে তিস্তা নদীর ভাটিতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আষাঢ়ের শুরুতেই বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদদৌলা বলেন, তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও তিস্তার উজান ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন বন্যা হলেও কৃষকের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, জমিতে এখনও তেমন কোনও ফসল নেই।