আলোর মনি রিপোর্ট: ব্রীজ আছে; রাস্তা নেই। এর ফলে কাজে আসছে না লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের ৩১লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটি।
একাকী দারিয়ে থাকা ব্রীজটির সংযোগ রাস্তা না থাকায় বিকল্প পথে হাঁটুপানির মধ্যে দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
দেখা যায়, প্রায় ৩১লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫০মিটার দৈর্ঘ্য ব্রীজটি একাকী দাড়িয়ে আছে। ব্রীজটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় ৫বছর ধরে। যেন দেখার আছে, ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ নেই।
জানা গেছে, ব্রীজটি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর মিলন বাজার সংলগ্ন মূল তিস্তা নদীর ক্যানেলের উপর ব্রীজটি প্রায় ৩১লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।
৫০মিটার দৈর্ঘ্য ব্রীজটির দু’পাশে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ না করায় সরকারের প্রায় ৩১লক্ষ টাকা তিস্তার পানিতে ভেস্তে যেতে বসেছে। ব্রীজটি ব্যবহার করতে না পাড়ায় এবং দুর্ভোগের কারণে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বর্ষাকালে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাকোই যেন একমাত্র ভরসা এলাকাবাসীর।
রুদ্রেশ্বর এলাকার বাসিন্দা আসিয়া, বাবু ও রায়হান জানান, প্রতি বছরই বন্যা এবং বৃষ্টির পানিতে প্রায় ৬মাস পানির মধ্যে বন্দি থাকতে হয়। পানি নেমে গেলে মাঠে ফসল আবাদ শুরু হয়। মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান।
দাবির পরিপেক্ষিতে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলেও দীর্ঘদিন পরেও ব্রীজটির কোন সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। ভোটের সময় সব নেতারা আসে আর ব্রীজের দুপাশে রাস্তা তৈরির কথা বলে ভোট নিয়ে যায় কিন্তু রাস্তা আর নির্মাণ হয় না।
তারা আরও জানান, কয়েকটি গ্রামের মানুষ ব্রীজটির পাশ দিয়ে হাটুপানি দিয়ে চলাচল করেন। বর্ষার সময় এ এলাকা ঢুবে যায় তখন নৌকা ব্যবহার করতে হয়।
কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহির তাহু বলেন, এলাকাবাসীর দূর্ভোগ দূর করতে আমি খুব দ্রুত নিজ অর্থায়নে ব্রীজের সংযোগ রাস্তাটি উঁচু করবো। রাস্তাটি উঁচু করা হলেই ব্রীজটি সচল হবে বলেও তিনি জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ব্রীজটি পরিদর্শন করে দ্রুত সংযোগ রাস্তার ব্যবস্থা করা হবে।