আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বাড়ি থেকে ফসলি জমিতে যাবার রাস্তা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কামরুজ্জামান আলী নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপাট এলাকার মৃত খাদেম উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চন্দনপাট গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে নুরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশ দিয়ে পৈত্রিক সূত্রের রাস্তায় দীর্ঘ দিন ধরে যাতায়ত করতেন তাদের চাচাত ভাই কামরুজ্জামানের পরিবার। সম্প্রতি সময় তাদের বাড়ি যাওয়া রাস্তাটি গর্ত খুড়ে বন্ধ করেন চাচাতো ভাইয়েরা। বাড়ি যাবার রাস্তা ফিরে পেতে ও সংঘর্ষ এড়াতে সোমবার (৯ মে) আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার চান কামরুজ্জামানের ভাই শামছুজ্জামান।
থানায় অভিযোগ দেয়ায় কামরুজ্জামানদের উপর ক্ষিপ্ত হন নুরুল ইসলামগংরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে যাওয়ার আগেই মঙ্গলবার সকালে কামরুজ্জামানের সাথে বিতর্ক হয় নুরুল ইসলামের। মঙ্গলবার বিকালে ক্ষেতের ভূট্টা নিয়ে ওই রাস্তা হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কামরুজ্জামান। এ সময় নুরুল ইমলামের পরিবারের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে কামরুজ্জামানকে আটক করে ধাক্কা ধাক্কি করে। এতে মাটিতে পড়ে গেলে গুরুতর আহত হন কামরুজ্জামান। স্থানীয়দের সহায়তায় তার পরিবারের লোকজন আহত কামরুজ্জামানকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আদুরী বলেন, আমার স্বামী ভূট্টা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার সময় রাস্তা খুরা ছিলো। কেনো খোরা হলো তা জানতে চাওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওরা আমার স্বামীর হামলা করে। তাদের এলোপাতাড়ি মার ডাং এ আমার স্বামী মারা গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি চান তিনি। মেয়ে মাজেদা বাবার নিহতের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, পূর্বে যিনি অভিযোগ দিয়েছেন তার উপর হামলা হয়নি। তার ভাইয়ের উপর হামলা হলে তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শামসুজ্জামান বাদি হয়ে থানায় মামলা দিয়েছে এবং ইতিমধ্যে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।