আলোর মনি রিপোর্ট: ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ'র ভারতের অন্তর্ভুক্ত ৫ মাইল হেলিপ্যাড হয়ে তিনবিঘা করিডোর, জিগাবাড়ী, বেরুবাড়ীসহ লালমনিরহাট জেলাধীন পাটগ্রাম উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ২টি ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা পরিদর্শন করেছেন।
শুক্রবার (৬ মে) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টা থেকে-দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিদর্শন করেন।
ছিটমহল হস্তান্তরের পরে এই প্রথম বাগডোবরা থেকে হেলিকপটারে করে ভারতের ৫ মাইল হেলিপ্যাডে অবতরণের পর বিএসএফ এর সাথে বৈঠক করাসহ লালমনিরহাট জেলাধীন পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ছিটমহলসহ ভারতের অন্তর্ভুক্ত বেরুবাড়ী, জিগাবাড়ী ও তিনবিঘা করিডোর বাসীদের দীর্ঘদিনের বিভিন্ন প্রকার দাবি দাওয়া পূরণের লক্ষ্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ উক্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।
তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শন কালে তিনি করিডোরে অবস্থানরত বিএসএফ এর সালাম গ্রহণ করেন এবং বিএসএফ এর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহিত মিটিং করেন। যার বক্তব্য কোনভাবেই সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব (ভারত ও বাংলাদেশ) ধারণা করছেন, দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা, বেরুবাড়ী, জিগাবাড়ী ও তিনবিঘা করিডোর বিষয়ে যে সম্ভাব্য বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ জনগণ ও বিএসএফের সাথে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ'র আলোচনা করা হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেছেন, আঙ্গরপোতা, দহগ্রাম ও তিনবিঘা করিডোরটি আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের প্রধান ও একমাত্র রুট হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে আলোচনা বিশেষত সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও গরু পাচারের অভিযোগের বিষয়টি আলোচনা।
সীমান্তে নজরদারি ও বিধি-নিষেধ বাড়ানোর দাবি উপস্থাপন এবং ভারতীয় কৃষকদের কাঁটাতারের বাহিরে আটকে পড়া ফসলি জমি আবাদের প্রক্রিয়ার বিষয়টি আলোচনা ও তার সমাধান জরুরি। এছাড়াও রাজনৈতিক মহলের মতে, ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উল্লেখিত এলাকা পরিদর্শনের কারণ ২টি বিষয় হতে পারে, একদিকে আমজনতার অভিযোগের কথা শোনা আর অন্যদিকে বিজেপির রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা। অর্থাৎ এক ঢিলে ২ পাখি শিকার করার মতো অবস্থা জিগাবাড়ী পরিদর্শন শেষে দুপুর ১টার দিকে মন্ত্রী পুনঃরায় তিনবিঘা করিডোর হয়ে ভারতের ৫ মাইল নামক স্থানে হেলিপ্যাড এর উদ্দেশ্যে চলে যান।
এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনবিঘা করিডোর এর গেট বিএসএফ বন্ধ রাখেন। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘ সময় ধরে করিডোরের গেট বন্ধ রাখায় দহগ্রাম বাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা চলাকালীন বাংলাদেশের পুলিশ কিংবা অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ওই সময় করিডোরের গেট বন্ধ ছিল। ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় বলে তারা বাংলাদেশের কাউকে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে দেয়নি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.