হেলাল হোসেন কবির: কি ঘটেছিল লালমনিরহাট প্রেসক্লাবে। তা জেনেও হয়তো কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চাইছেন। কই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননা করার বিষয়ে তেমন প্রতিবাদ করতে তো দেখা গেলনা।
সেই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রেসক্লাবে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের সামনে যখন প্রেসক্লাব ঢুকা হলো তখন জানালা দিয়ে দেখা গেল মহানায়কের ছবি কিভাবে অবমাননা করে রেখেছেন। তাও আবার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে হেলান দেওয়া। সেই চেয়ারে বসতো বিতর্কিত সাংবাদিক আশিকুর রহমান ডিফেন্স। রুমটি তালা দেওয়া ছিলো। সব কিছু বিষয়ে অনেকেই ফেইসবুকে তা নিয়ে লাইফ করেছেন।
লালমনিরহাট ছোট শহর। শহরের গায়ে জুড়ে আছে হাজারও মুজিব সৈনিক। সবাই ফেইসবুকে লাইভ দেখলেও কেউ সেখানে এসে সঠিক পরিবেশ দেখেননি! বা খোঁজ নেন নি!
যার ফলে তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের জন্য লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। থানা যাওয়ার আগে প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রেসক্লাবের গেটে তালা লাগানো হয়, যাতে ঘটনা কেউ অন্যখাতে নিয়ে না যায়।
দিন গড়িয়ে গেল রাত এলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের কোন ভূমিকা দেখা গেলোনা। বুঝতে আর বাকি রইলো না তারা নির্ভর হয়ে আছেন! জাতির জনকের প্রতি স্থানীয় নেতারা কোন সমাধান করলেন না। যার ফলে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধনের ডাক দেন।
মানববন্ধনের কারনে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। সেটা টের পেয়ে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাতের আধাঁরে ৪/৫জন সাংবাদিক ও বহিরাগতরা গেট ও রুমের তালা ভেঙ্গে নিজেদের সাধু রাখতে আবারও সব কিছু রহস্য তৈরি করে। তার কিছু অংশ আবার ফেইসবুকে লাইভ করে দেখাতে থাকেন। সেখানে দেখা গেল এক সময়ের জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতা আইয়ুব আলী বসুনিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এর প্রচার সম্পাদক এস কে সাহেদ, পাটগ্রাম উপজেলা থেকে এসে লালমনিহাটে সাংবাদিকতা করেন ও দু'দিকে ব্যালেন্সকারী তৌহিদুল ইসলাম লিটন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সন্তুষ্টিকারি তন্ময় আহমেদ নয়নকে আর লাইভে ছিলেন জাতীয় পার্টিভূক্ত যুবজোটের নেতা আশিকুর রহমান ডিফেন্স।
অনুমানিক রাত ১১ঘটিকার সময় তাদের এই আচার-আচরণের খবর পেয়ে দিনে মানববন্ধনকারী সাংবাদিকরা ফোন করে প্রশাসনকে জানান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তো ভিতরে ঢুকা ঠিক হবে না। তদন্তের স্বার্থে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলতে হবে।
তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননা করায় প্রতিবাদকারী সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সামনে আসলে আশিকুর রহমান ডিফেন্স ও এস কে সাহেদসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলে চ্যানেল 24 এর স্টাফ রিপোর্টার মিলন পাটোয়ারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়, পথচারিরা সেই রক্ত দেখে কেউ দৃষ্টি ফিরাতে পারেননি। তখন আমি নিজেকে বাঁচাতে হাতের কাছে উপস্থিত গাছের ডাল পাই সেটা হাতে নিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করি ও পুলিশ ভ্যানের কাছে আশ্রয়ের জন্য যাই। সে সময় আশিকুর রহমান ডিফেন্স বিশাল এক লাঠি নিয়ে পুলিশের সামনে জনকণ্ঠের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে মারতে আসলে সেই লাঠি নিয়ে দুজনের মধ্যে টানাটানি শুরু হতে থাকে। এমন সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সন্তুষ্টি অর্জনকারী নবাগত সাংবাদিক তন্ময় আহমেদ নয়ন কাকে যেন ফোন দিয়ে বলতে থাকে ''ভাই ভাই লোক পাঠান ভাই "। সে এভাবে বহিরাগতদের ফোন করে নিয়ে এসে সাংবাদিকদের উপর লেলিয়ে দিতে থাকেন। বহিরাগতদের হাতে আহত হই আমি, লিয়ন দুলাল, জাহাঙ্গীর আলম শাহীন ও মিলন পাটোয়ারীসহ আরও অনেকেই।
প্রশ্ন হলো- সেদিন বা সে সময় কোন কোন চরমপন্থী নেতারাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছিল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননার সকল ডকুমেন্টস নষ্ট করে দিলো দেশের সকল সংস্থাকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। এদের দু'তিন দিনের কল লিস্ট চেক করলেই তা সকল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননাকারী ও প্রেসক্লাবে যারা আমাদের উপর হামলা করেছে তার বিচার চাই।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.