আলোর মনি রিপোর্ট: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলো জমজমাট রূপ ধারণ করেছে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের বাজার ১৫রোজা শুরুর পর থেকেই জমে উঠেছে। আর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বেচাকেনা। বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। নানা রকমারী শাড়ি ও জামা-কাপড়ের পসরা সাজিয়ে ব্যবসায়ীরা নানাভাবে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অপরদিকে চুড়িমালা, কসমেটিকস্-এর দোকানগুলো বাহারী পণ্যের অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। রোজার শুরুতেই বিপণী বিতানগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। দুপুর গড়ানোর সাথে সাথেই মার্কেটগুলোতে ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে বিক্রিও বাড়তে শুরু করেছে। পরিবারের সদস্যদের পবিত্র ঈদ উল ফিতরের কেনাকাটায় তারা থেমে নেই। পোশাকের দোকানগুলোতে বর্তমানে ক্রেতাদের উপচে পড়া কিন্তু লেগেই আছে। লালমনিরহাট জেলাসহ ৫টি উপজেলায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরের কেনাকাটা জমে উঠেছে। জেলা শহরের গোশালা বাজার মার্কেট, উত্তরণ সুপার মার্কেট, পাটোয়ারী মার্কেট, কালীবাড়ী (পুরান মার্কেট, শাহান শপিং কমপ্লেক্স, বিডিআরর রোড মার্কেট, বড় মসজিদ মার্কেট, আলোরূপা মোড় মার্কেট, জেলা পরিষদ মার্কেট, মিশন মোড় সেনা মৈত্রী মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পাশাপাশি বুটিকা হাউজ গুলোতেও তরুণীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। পবিত্র ঈদ উপ-ফিতরের বাজারের প্রধান আকর্ষণ জামা কাপড়ের পাইকারী ও খুচরা বেচা কেনা। সেই সঙ্গে জুতার, কসমেটিকসের, রেডিমেট কাপড়ের দোকানে জমে উঠেছে।
জানা যায়, এখন গ্রামের ক্রেতা সাধারণের কেনাকাটা বিভিন্ন ব্যবসায়ী দোকানে ব্যাপক লক্ষণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যানবাহন ও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর শপিংয়ে নেমে পড়েন ক্রেতারা। বাবা-মায়ের হাত ধরে শিশুরাও এসেছে পছন্দের পোষাকটি বেছে নিতে। গত বছরের তুলনায় এবার বাজারে সব কিছুর দামই চড়া। তবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের পোষাকের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। তারপরও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের কেনাকাটা বলে কথা। মার্কেটগুলো নতুন সাজে সেজেছে। বিপণী বিতানগুলো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের পণ্যে ভরপুর। ক্রেতারা দোকানে দোকানে ঘুরছেন পছন্দের জিনিস কেনার জন্য। আর বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পণ্যের বিভিন্ন শুনাগুন তুলে ধরছেন। দিচ্ছেন মূল্য ছাড় ও ফ্রি অফারের ঘোষণা।
ব্যবসায়ীরা জানান, পবিত্র ঈদ উল ফিতরের কেনাকাটায় মার্কেট জমে উঠেছে। ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজনই বেশি। এ পবিত্র ঈদ উল ফিতরে লোকজন পোশাক-আশাক, প্রশাসন, রূপসজ্জা, ইমিটেশন, কসমেটিক্স, পারফিউমসহ নানা আইটেমের জিনিসপত্রই বেশি কেনাকাটা করে। পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে আধুনিক ও নতুন ডিজাইনের দেশী বিদেশী থ্রিপিচ, শাড়ি, পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, হাফ শার্ট, ফুল শার্ট, জিন্স প্যান্ট, গেবাডিং প্যান্ট ও বাচ্চাদের পোশাক থেকে শুরু করে চুড়ি, কানের দুল, নাকের ফুল, ভারি ও হালকা কাজের গলার চেইনসহ নানা রকম গহনা, ইমিটেশন ও প্রশাসধী সামগ্রী কেনাবেচা হচ্ছে।
ক্রেতারা জানায়, অন্যবারের তুলনায় এবার শাড়ি কাপড়সহ প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আয়ের সাথে ব্যয়ের সংকুলান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, থান কাপড়ের দাম বেশি রেডিমেট প্যান্ট ও টি শাটের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। অনেক ক্রেতা কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় তুলনামুলকভাবে অল্প মূল্যের রেডিমেট কাপড় কিনছে। বর্তমানে কাপড়ের দোকান ও গার্মেন্টস দোকান গুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। জুতা ও চুড়ি মালার দোকান গুলোতে বেচা-কেনা ভালো হয়। বুটিক শিল্পীরা হাতের কাজ শেষ করতে যেমন দিন রাত কাজ করছে, তেমনি দর্জিদের ও বিরাম নেই।
সবমিলিয়ে বিত্তবানরা পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দে মেতে উঠেছে। তবে দিনমজুরদের কাছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হচ্ছে। নিজেদের আহার জোগানোই যেখানে সেখানে কষ্টকর, সেখানে ছেলেমেয়েদের চাহিদা পূরণ করবে কি ভাবে এটাইতাদের ভাবনা।