শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা

ছেলে বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছেলের লাঠির আঘাতে গুরত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক অসহায় বৃদ্ধা মা। ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হন অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।

 

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এরশাদুল আলম।

এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ছেলে রশিদুল ইসলাম, ছেলের বউ বেবি বেগমসহ ৩জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টিএনটি পাড়া এলাকায় বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে একই পরিবারে বসবাস করেন রশিদুল ইসলাম। এমতাবস্থায় গতকাল সকাল ৯টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়াঝাটি হয়। এর এক পর্যায়ে রশিদুল ও তার স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে বৃদ্ধা মাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। এতে বৃদ্ধা রশিদা বেগম গুরত্বর আহত হয়। এ ঘটনা দেখে বাবা রফিকুল ইসলাম ঝগড়া থামাতে গিয়ে তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাতে লাঞ্চিত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতা রফিকুল ইসলাম তার বৃদ্ধা স্ত্রী রশিদা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে দেন। যার রেজি নং- ১৯৩৬। এ ঘটনা ঐ দিন রাতে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার ছেলে, ছেলের বউসহ ৩জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

 

এ বিষয়ে কথা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, রশিদুল ইসলাম তার বউসহ প্রায়ই তাদেরকে মারধোর করেন। রশিদুলের এক ছেলে সেনাবাহিনী ও এক মেয়ে পুলিশে চাকরি করে আর সেই ক্ষমতা ও টাকার জোরে তারা কাউকেই মানেনা। ছেলে ও ছেলের বউয়ের উপযুক্ত বিচার চান অসহায় পিতা রফিকুল ইসলাম।

 

রশিদুলের স্ত্রী বেবি বেগম শ্বশুর শ্বাশুড়িকে মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার শ্বশুরই তাকে মারধোর করেছে।

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone