আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নে কলহের জের ধরে আজিনা বেওয়া নামে এক বিধবা ভূমিহীনের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিভোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই বিধবা বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এর আগে গত ১২ এপ্রিল বিকালে ইউনয়নের মোগলহাট রেল লাইনের ধারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলো- একই এলাকার হাবিবুর রহমান, আব্দুর রহিম, রহিমা বেগম, শুকুর মিয়া, নাছির আলী, হানিফ ও শিবাতন বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার মৃত নুর হোসেনের স্ত্রী ভূমিহীন আজিনা বেওয়া (৬০) মোগলহাট রেল লাইনের ধারে খাস জমিতে দু’চালা ঘরে ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭) কে নিয়ে বসবাস করতো। ছেলে ভ্যানে করে বাডি বাড়ি ও বিভিন্ন মোড়ে কাপড় বিক্রি করে যা আয় হতো তা দিয়েই চলতো মা ছেলের সংসার। ৯বছর পূর্বে ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে বত্রিশ হাজারী এলাকার হাবিবুর রহমানের কন্যা রাশেদার সাথে পারিবারিক মতে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রী রাশেদার শুরু হয় উশৃংখল আচরণ। সে স্বামী ও শাশুড়ির অবাধ্য হয়ে যায়। তুচ্ছ ঘটনায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। একাধিকবার বিচার শালিস করলেও রাশেদার উশৃংখল আচরণের পরিবর্তন হয় না। এরই মধ্যে রাশেদা দুই সন্তানের মা হয়। স্বামী জাহাঙ্গীর সন্তানদের কথা চিন্তা করে স্ত্রীর অন্যায় অত্যাচার মেনে নেয়।
সম্প্রতি রাশেদা বেগম তুচ্ছ কারনে স্বামীর সাথে ঝগড়া বিবাদ করে বাবার বাড়িতে চলে। স্বামী ও শাশুড়ি কয়েক দফা রাশেদার বাবার বাড়িতে গেলেও অকারণে তাদের সাথে না এসে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে গত ১২ এপ্রিল বিকালে কাউকে কিছু না বলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিধবা আজিনার বাড়িতে এসে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় বাড়িতে থাকা খাট-চকি, চেয়ার-টেবিল, হাড়ি-পাতিলসহ যাবতীয় মালামাল কয়েকটি ভ্যান যোগে লুট করে নিয়ে যায়।
বর্তমানে ভূমিহীন আজিনা বেওয়া ছেলে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে ওই ভাঙ্গা বাড়িতে বসবাস করছে।
ভূমিহীন আজিনা বেওয়া সাংবাদিকদের বলেন, অন্যের জমিতে কাজ করে অনেক কষ্টে ছেলে মানুষ করেছি। জমি নেই তাই রেলের খাস জমিতে ঘর তুলে আছি। তিল তিল করে কষ্টের টাকা জমিয়ে ঘরের জিনিস করেছি। আজ সেই জিনিস ছেলের শশুর বাড়ির লোকজন জোর করে দিনে দুপুরে লুট করে নিয়ে গেলো। আমি জিনিগুলো ফেরত চাই এবং এর বিচার চাই।