আলোর মনি রিপোর্ট: হঠাৎ করেই লালমনিরহাটে অসহনীয় তাপদাহ। চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহে হাঁসফাঁস জনজীবনেও। সেই সাথে ভ্যাপসা গরম। তপ্ত ও গুমোট আবহাওয়া। জনজীবনে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। চারিদিকে মানুষজন ছাড়াও প্রাণিকূলের মধ্যে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেক জায়গায় বাতাসে যেন আগুনের হুল্কা। তীর্যক সূর্যের দহনে দিনমান অতিবাহিত হচ্ছে। চৈত্র মাসের সেই চির চেনা প্রচন্ড গরম পড়ছে। টানা কয়েকদিনের তাপদাহে জনজীবনে নেমে এসেছে সীমাহীন জন দুর্ভোগ। সেই সাথে বাড়ছে বিভিন্ন রোগবালাই।
দিনের শুরুতেই গরমের তীব্রতা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। যে কারণে মানুষ বাইরে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।
দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া বাতাসের আপেক্ষিক জলীয়বাষ্প ও আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকায় মানুষ অতিরিক্ত ঘামাচ্ছে। সেই সঙ্গে শরীর দ্রুত দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। অনেকেই জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধিতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
ভাটিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সাহেব আলী বলেন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষের।
রংপুর কারমাইকেল কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোঃ হেলাল হোসেন কবির বলেন, চৈত্রের গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছে মানুষ। এত গরম আগে কখনও দেখিনি।
উল্লেখ্য যে, এই পবিত্র মাহে রমজান মাসে গরমে, ঘামে অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে সর্বত্র।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.