আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচায় ২সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে স্বামী আদিকুল ইসলাম (৩৫) তার চাচাতো ভাইকে দিয়ে ধর্ষণ করিয়েছে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূকে পুলিশ উদ্ধার করে গতকাল শুক্রবার ১৯ জুন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। আজ শনিবার ২০ জুন তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার ১৮ জুন রাতে আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ লম্পট ও ধর্ষককে আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের রজবপাড়া (৪নং ওয়ার্ড) গ্রামের জলিল মিয়ার পুত্র সাদিকুল ইসলাম (৩৫) এর সাথে কয়েক বছর আগে ওই গৃহবধুর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ২টি শিশু সন্তান রয়েছে। গত ১৪ জুন রাতে স্বামী তার চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলামকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করায়। ধর্ষক সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের রশিদের পুত্র। ধর্ষক ওই গৃহবধুর স্বামীর কাছে কিছু অর্থ পাওনা ছিল। স্ত্রীর সাথে রাত কাটাতে দিলে ঋণ শোধ। এই কু প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে স্বামী দেয়ায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতা গৃহবধু জানান, ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় স্বামী মুখ চেপে ধর্ষককে সহায়তা করেছে। এ ঘটনা ফাঁস করলে তাকে তালাক ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষক ও তার স্বামী। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ধর্ষিতা ঘটনাটি প্রতিবেশিদের জানায়। এই ঘটনা ধর্ষিতা, স্বজন ও প্রতিবেশিরা পুলিশকে জানায়নি। তবে বিস্তারিত বর্ণনা ও বিচার দাবী করে ১৮ জুন ফেসবুকে অননুমোদিত অনলাইন টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করে। ভিডিওটি মুহুর্তে নেটিজেনদের কাছে ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি সম্পর্কে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও এসপি আবিদা সুলতানা জানাতে পারে। পরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় ধর্ষণ এবং নারী শিশু নির্যাতন ও দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করাতে বৃহস্পতিবার রাতেই লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিম, স্বজন ও প্রতিবেশি কেউ বিষয়টি সম্পর্কে থানা পুলিশকে অবগত করেনি। অথচ কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে কুরুচিপূর্ণ ভাবে ফেসবুকে ভিডিও প্রচার করেছে। কারণ সেখানে গৃহবধুর ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। সেটাও আইসিটি আইনে অপরাধ। ভিকটিম ও স্বজনরা মর্যাদাহানির মামলা করতে পারে। এদিকে পুলিশ ঘটনাটা সম্পর্কে জেনেই গৃহবধুকে উদ্ধার করে থানায় মামলা নিয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে।