হেলাল হোসেন কবির: লালমনিরহাটে পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে গত তিন দিন ধরে কয়েক দফায় সংঘর্ষ চলছে। শ্রমিকদের না জানিয়ে জমি গোপনে বিক্রি করার অভিযোগে সাধারণ শ্রমিক ও সাবেক কমিটির লোকজনের সাথে এই সংঘর্ষের মূল কারণ বলে জানা যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ৪টি বাসের টিকিট কাউন্টার ভাংচুর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের পুরাতন কমিটি দিয়ে চলছে লালমনিরহাট বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। পুরাতন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক শ্রমিকদের কার্যালয়ের জন্য কেনা জমি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি জানা জানি হলে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। যার ফলে জমি বিক্রির দলিল দিয়ে গত ৬ মার্চ সাধারণ শ্রমিকরা লালমনিরহাট সদর থানায় সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও পুরাতন ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তের দাবিতে রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় বর্তমান কমিটি বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৩জন আহত হন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে বর্তমান কমিটির কয়েকজন শ্রমিক শহরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে থাকা শ্রমিকরা পুলিশ লাইন্সের সামনে বিনিময় ফিলিং স্টেশনের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই ঘটছে সংঘর্ষ।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে বাস টার্মিনালে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক বুলবুল আহমেদের ওপর হামলা করে বাপ্পি নামের এক শ্রমিক নেতা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বুলবুলের সমর্থকরা মিছিল বের করে বুড়িমারী এক্সপ্রেস, নাভিলা পরিবহন, হাজী পরিবহন ও তিস্তা পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম জানান, দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে উভয়কে শান্ত থাকার আহবান করা হয়েছে।