আলোর মনি রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক ভাড়াটিয়া খুনিদের সেরা খুনি, মানুষ হত্যাকারী, পাচারকারী, ছিনতাইকারী ও গুলিসহ পিস্তল বানিজ্যকারী এবং অস্ত্র বাণিজ্যকারীদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে এ অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোঃ আশরাফুল হক (৩৩), পিতা মৃত- আব্দুল হামিদ সাং- দুলালী, থানা- কালীগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাট। তিনি লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ে করেছে যে, বিবাদীঃ ১। মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে অনিক (৩৬), পিতা মৃত- মিনহাজ, ২। মোঃ জলিল মিয়া (২৫), পিতা- মোঃ মোস্তাফিজার, ৩। মোস্তাফিজার (৫০), পিতা মৃত- আজাহার আলী, ৪। আঃ সামাদ (৫৫), পিতা মৃত- ছলিম শেখ, ৫। লুবনা বেগম (২৫), স্বামী- মোঃ নুরুজ্জামান ওরফে অনিক, ৬। মোঃ উজ্জল মিয়া (২৫), পিতা মৃত- ওহেদ আলী, সাং- চন্দ্রনপাট বাবুরটারী, থানা- আদিতমারী, ৭। জোবেদা বেওয়া (৪০), স্বামী মৃত- মিনহাজ মিয়া, সর্ব সাং- মালগাড়া, থানা- কালীগঞ্জ, সর্ব জেলা- লালমনিরহাট। ৮। অজ্ঞাতনামা বটে। ১নং বিবাদী একজন আন্তজার্তিক ভাড়াটিয়া খুনিদের সেরা খুনি, মানুষ হত্যাকারী, পাচারকারী, ছিনতাইকারী ও গুলিসহ পিস্তল বাণিজ্যকারী। ২, ৩, ৪, ৫, ৬নং বিবাদী খুনি, পাচারকারী, ছিনতাইকারী ও অস্ত্র বাণিজ্যকারী। হত্যার মূল উদ্দেশ্য তার সহধর্মনী মোছাঃ প্রতিমা রাণী ওরফে ফেরদৌসী বেগম রাণীকে ভারতে পাচার করিয়া বিপাকে পরে। কথাগুলো ভয়েস রেকর্ড রয়েছে বিধায় তাকে হত্যা করার পায়তারা করিতে থাকে। এমতাবস্থায় ১নং কুখ্যাত খুনিকে, পাচারকারী, ছিনতাইকারী ও অস্ত্র বাণিজ্যকারীকে অর্থ দিয়ে নিজ নিজ বাড়ীর ঘরে স্থান দিয়ে সাহস দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে এবং স্ব শরীরে প্রত্যেকে উপস্থিত ঘটনাস্থলে থেকে দেশের বিভন্ন জেলার বিভিন্ন থানার বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ হত্যা করে অর্থের বিনিময়ে। মানুষ হত্যা করে ছিনতাই করে ও গুলিসহ অস্ত্র বাণিজ্য করে। নিম্নে ১নং বিবাদীর মামলার ধরণ বর্ণিত হলো- ১। ঢাকা আদাবর থানার এফআইআর নং- ১৭, তারিখ- ২৬/০৬/২০১০ইং, সময় ১১.১৫ ঘটিকা। ধারাঃ ৩৭৯/ ৩৮৫/ ৫০৬/ ৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। ২। ঢাকা আদাবর থানার এফআইআর নং ২০/৩৬৮, তারিখ ২০/১০/২০১৯ইং, সময় ১০.৪৫ ঘটিকা, ধারাঃ ৪৫৭/ ৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০। ৩। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার আরও একটি এফআইআর নং- ১১৮/১৬, ধারাঃ ৩০২ (মানুষ হত্যার) অতিরিক্ত দায়রা জজ ময়মনসিংহ। সে উক্ত মামলাগুলোতে এজাহার ভুক্ত আসামী। গত ২৫/০৩/২০১৩ইং তারিখে গভীর রাত্রে তাকে নিজ বাড়ীতে প্রাণে হত্যা করতে আসছিলো। ধারালো মাথা বাকানো দুইটি দাসহ অন্যান্য আলামত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১৭/০২/২০২২ইং তারিখে তাকে প্রাণে খতম করতে ঢাকা থেকে ৬রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল নিয়ে আসছে। তিনি গোপনে জানতে পেরে গোড়ল চাকলার হাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকে বহু পূর্বেই মোবাইল ফোনে তথ্য দিয়েছিলেন। ১৯/০২/২০২২ইং তারিখে ৫/৭নং বিবাদী পার্শ্বের ইউনিয়ন কমলাবাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার প্রানপন কৌশল বিনিময় করেছিল। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে তিনি কমলা বাড়ীতে যাওয়ার প্রক্কালে ২নং স্বাক্ষী সেখানে যাওয়া নিষেধ করেছিল বিধায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছি মাত্র। ২০/০২/২০২২ইং তারিখে সকাল ৯.০০ঘটিকার দিকে তাকে তার বাড়ীর সামনের লিচু বাগান থেকে হঠাৎ ১নং কুখ্যাত খুনির ডান হাতে থাকা পিস্তল, ৫নং খুনির হাতে থাকা দেড়গঞ্জ ছোড়া ২, ৩, ৬নং বিবাদীর হাতে ছিল ধারালো রাম দা ও বাঁশের লাঠি দ্বারা ঘিরাও করে ধরে শরীরে আঘাত করতে করতে শক্ত রশি দ্বারা হাত বেঁধে প্রায় ৩০০গজ পশ্চিমে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেধে আরও নাকে মুখে, বুকে ঘুষি মারতে নাকে মুখে রক্ত ঝরছিল। ২নং বিবাদী তাকে অন্ডকোষে লাথি মেরেছিল। ঐ সময় ২, ৫নং বিবাদী তাকে দাড়ি (নবির সুন্নত) ধরে ঐ দেড়গজ ছোড়া দ্বারাই প্রায়ই প্রায়ই জবাই করতেছিল। পায়ের গিটে গিটে আঘাত করেছে। ৩, ৬নং বিবাদী লাঠি দ্বারা ঐ ঘটনাস্থলে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতেই ১নং বিবাদী ডান হাতে পিস্তল ধরে বলেছিল "ঐ শালা চোর কোন বাবাই তোকে বাঁচাতে পারবে না আমার হাত থেকে সময় গন ১০ মিনিট মাত্র।" প্রাণে ভয় কানাচে কোন লোকেই পিস্তলের গুলির ভয়ে কাছে চাপতে পারে নি। ঐ সময় আমি আমার নিজ শরীরের নাকে মুখের রক্ত ঝড়া দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনটি বলেছিলাম। “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিব তবু দেশকে মুক্ত করে ছারব জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু"। অতঃপর গোড়ল ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নুরুল, মোঃ আশরাফুল হক (৩৩), পিতা মৃত- পুলিশ বাংলা ঐ বাধন মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়েদেও৷ যার জন্য পুলিশ তাকে মোঃ আশরাফুল হক (৩৩), পিতা মৃত- যাওয়ার প্রক্কালে দুইটি দা ধরিয়ে দিয়েছিল। আমি তখন বলেছিলাম দাগুলো আমি হাত দিয়ে ধরব না। আমার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করাবো। বহু পূর্বেই পুলিশকে তথ্য দেওয়ায় ১নং বিবাদী খুনি, পাচারকারী, ছিনতাইকারী ও অস্ত্র বাণিজ্যকারীকে ধরে ফেলেন। বর্তমান ১নং বিবাদী ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আবদ্ধ রহিয়াছে। বিবাদীর ডান হাতে থাকা ৬ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তলটি ২-৭নং বিবাদীর মধ্যে রয়েছে। তার কাছে ভয়েস রেকর্ডসহ বিবাদীর স্বহস্তে লেখা অঙ্গীকার নামাও রয়েছে। তাদের কাছে ফাকা জাল স্বাক্ষরের স্ট্যাম্প বয়েছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনার স্বাক্ষীঃ ১। আয়শা বেগম (৫০), স্বামী মৃত- আব্দুল হামিদ, সাং- দুলালী, ২। মোছাঃ সাজেদা বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ জয়নাল আবেদীন, ৩। আঃ সাত্তার (৪৫), পিতা মৃত- ছলিম শেখ, উভয় সাং- মালগাড়া, ৪। আব্দুল মালেক, পিতা- আশরাফ আলী, ৫। আঃ সালাম, পিতা মৃত- সমশের আলী, উভয় সাং- দুলালী, সর্ব থানা কালীগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাটসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত অবস্থামতে তার অভিযোগ খানা তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক পিস্তলটি উদ্ধার করা হোক।
[caption id="attachment_8103" align="aligncenter" width="180"] Exif_JPEG_420[/caption]
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.