আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাসের সাধারণ শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় ৩টি মামলা হয়েছে। সেই সাথে সোমবার (২১ মার্চ) থেকে অনিদির্ষ্টকালের জন্য শ্রমিকরা কর্মী বিরতির ডাক দিলেও দিন শেষে সন্ধ্যা ৬.৩০ঘটিকায় প্রশাসনের অনুরোধে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন সাধারণ শ্রমিকরা।
জানা যায়, রোববার (২০ মার্চ) সকালে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটের মোটর শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩জন আহত হয়। দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৮ঘটিকার দিকে লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন বাস টার্মিনাল এলাকায় লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক এর বিনিময় ফিলিং স্টেশনে ভাংচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সাধারণ শ্রমিকরা। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের পুরাতন মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে লালমনিরহাট বাস মিনিবাস শ্রমিক সংগঠনটি। বারবার নতুন করে কমিটির দাবি উঠলেও এ নিয়ে কমিটি না করায় শ্রমিকরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে একটি পক্ষের মধ্যে ক্ষোভের তৈরি হলে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। এছাড়াও শ্রমিকদের অফিসের জন্য কেনা একটি জমি গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি কমিটির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় শিফাত হোসেন মুন্না নামের একজন সাধারণ শ্রমিক বাদি হয়ে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে ৬জনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম আনোয়ার ইসলাম দুলু, সিফাত হোসেন মুন্নাসহ ৭জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত ২০/৩০জনের নামে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এবং বিনিময় ফিলিং স্টেশনের জেনারেল ম্যানেজার রুহুল আমিন দুলু বাদি হয়ে সাখোয়াত হোসেন সুমন খান, বুলবুল আহমেদসহ ২১জনের নাম দিয়ে রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে উভয় পক্ষের ৩জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে আদালত ২জনকে জামিন দিয়ে ১জনকে জেল হাজতে পাঠায়।