আলোর মনি রিপোর্ট: মোছাঃ আমিনা বেগম (৬৪) পেশায় একজন গৃহিণী। প্রতিদিনই কাজ করছেন, স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সংসার করছেন। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যে তিনি একজন মৃত ব্যক্তি। এ কারণে তিনি কোভিড-১৯ এর টিকা দিতে পারেননি। দীর্ঘ দিন থেকে পান না সরকারের দেওয়া কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলো।
মোছাঃ আমিনা বেগমের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের চৈতন সীতারাম গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মোঃ আতের আলী, মাতা মোছাঃ শারভান বেগম। তাঁর জন্ম ২ মার্চ ১৯৫৮ সাল।
মোছাঃ আমিনা বেগম বলেন, কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের সময় জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে টিকা নিতে গিয়ে তিনি টিকা পাননি। কারণ, তাঁকে এখনও মৃত দেখাচ্ছে। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর পরিচয় পত্রের নম্বর দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছিল না। তিনি ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন।
মোছাঃ আমিনা বেগমের ছেলে তারেক রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে অ্যাকাউন্ট খুলবো জন্য বড়বাড়ী বাজারে তানজিল টেলিকমে যাই, সেখান থেকেও বলা হয় আইডি কার্ডটি মৃত্যু দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে। পরে তিনি কার্ডটি সংশোধন করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে ৫-৬দিন গিয়েছি, কিন্তু তাঁরা কার্ডটি সংশোধনের অযুহাতে বার বার ঘুরিয়েছে। অফিসে গেলে বেশীর ভাগ সময়ে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অফিসে থাকেন না। ফলে আমি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইনের ১০৫ টোল ফ্রি নাম্বারে কল করলে তাঁরা মোছাঃ আমিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু আমিনা বেগম এখনও জীবিত রয়েছে জানালে তাঁরা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে প্রত্যয়নপত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।