অ্যাড. মতিয়ার মানুষকে ভালবাসেন। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় পোশাক পাজামা-পাঞ্জাবী ও মুজিব কোর্ট পরিধান করতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার তারুণ্যদীপ্ত রাজনীতিবিদ সভা-সমিতি ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মার্জিত ভাষায়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও আঘাত কিংবা কটাক্ষ করে কথা বলতে অভ্যস্ত নন তিনি। চলনে-বলনে ধীর স্থির সাধারণ মানুষের প্রিয়ভাজন অ্যাড. মতিয়ার রহমান লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের অকার্যকর নেতৃত্বকে কাউন্সিলের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পন্থায় পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকসহ সাধারণ মানুষকে সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক ভূমিকার মাধ্যমে আকর্ষণ করতে থাকেন। অ্যাড. মতিয়ার রহমান যোগ্যনেতৃত্বদান ও ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি সংসদীয় আসনেই মহাজোটের প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়া, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি সংসদীয় আসনেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়া, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি সংসদীয় আসনেই মহাজোটের প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়া, লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিজয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অধিকাংশ চেয়ারম্যান পদে দলের অনুকূলে অর্জন করেন। সেই ধারাবাহিকতা এখন চলমান রয়েছে।
গণতান্ত্রিক চেতনা এবং পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণার কারণে অ্যাড. মতিয়ার রহমান রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুস্থ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে তাঁর পরাজয়কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছেন। তিনি এ নির্বাচনে পরাজিত হলেও সাধারণ মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টির জন্য আরো উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয় করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতৃত্বকে দলের সামনের সারিতে নিয়ে আসেন। এভাবেই তিনি নিজেকে লালমনিরহাট জেলার উন্নয়নে সহচরে পরিণত করেছেন। যার স্বীকৃতি পাওয়া গেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা লালমনিরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে অ্যাড. মতিয়ার রহমানকে নিযুক্ত করার মাধ্যমে। লালমনিরহাট জেলায় বিগত মহাজোট সরকারের আমলে একজন পূর্ণমন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী এবং একজন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একজন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী, একজন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, একজন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, একজন আইন বিচার ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে অ্যাড. মতিয়ার রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে মহাজোট সরকারের আমলে একজন বিরোধী দলীয় উপনেতা ও একজন পূর্নমন্ত্রী এবং একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এঁদের নানা মুখী কর্মকান্ড ও কর্মসূচিতে আলোচিত ও পরিচিত লালমনিরহাট জেলায় অ্যাড. মতিয়ার রহমান নিজেকে প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতে সক্রিয় রেখেছেন সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনার, আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বস্ত অভিভাবক হিসাবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে অ্যাড. মতিয়ার রহমান প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষের সমস্যা, মানুষের প্রয়োজনে ক্লান্তিহীন সময় পাড়ি দেন। তাঁর এ ক্লান্তিহীন প্রতিদিনের কর্মময় জীবনের নেপথ্যের শক্তি কী এবং তারুণ্যদীপ্ত সক্রিয়তার উৎস কী, সে বিষয় নিয়ে বর্তমান অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো-
স্কুলের বিজ্ঞানাগার থেকে যন্ত্রপাতি এবং সেখানে রক্ষিত সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের হারমোনিয়াম ও তবলা-ডুগি চুরি হলে নিজের জীবন বিপন্ন করে ছাত্রাবস্থাতেই প্রভাবশালী চোরচক্রের বিরুদ্ধে সহপাঠিদের নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে তিনি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর সাহসী বক্তব্য, বিবৃতি, রাজনীতি তাঁকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র হলেও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদার্থ মুক্তিযোদ্ধাদের অন্ন এক বাড়ী থেকে লুকিয়ে অন্য বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া; শীতার্থ মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বার-তের বছরের একটি ছেলে পাঁচকুলি দোলা ব্রীজের লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামের সাথে সংযুক্ত লাইন বিচ্ছিন্ন করণসহ খান সেনাদের ক্যাম্প দেখিয়ে দেয়া এমন অনেক সাহসিকতার কাজ করেছেন একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের মত; যা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী গোকুন্ডা ইউনিয়নের শ্রদ্ধাভাজন মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ইউনিয়ন কমান্ডার, মাহমদুল ইসলাম মাদুল, মোস্তাফিজার রহমান, আব্দুর মনির উদ্দীন সরকার, রুস্তম আলী, দুলাল বিশ্বাস, আব্দুর মোন্নাফ, মৃত রোকন আলী, ময়মনসিংহের মোনায়েম প্রমুখ। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রতি ছিল অগাধ শ্রদ্ধা ও গভীর অনুরাগ। সম্ভবতঃ ক্লাস নাইন কিংবা টেন এ পড়বার সময় এক ভিন্ন মতাবলম্বী ছাত্রনেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক ও কটুক্তি করে কথা বললে, তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত মানস তাঁর শিশুমনকে কিভাবে আলোড়িত করেছিল তা এ ঘটনা থেকে স্পষ্ট।
বাল্যকাল থেকেই তাঁর মধ্যে ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পরিচয় পাওয়া যায়। অজ্ঞতা এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সর্বদা প্রতিবাদ মুখর। একদিন স্কুলের শহীদ মিনারটি একদল ধর্মান্ধ ছাত্র রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ফেললে পরদিন সকালে সহপাঠি ছাত্রদের নিয়ে উত্তাল প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এ সময় তিস্তায় সেনা বাহিনীর কিছু সদস্যের সঙ্গে জনতার একটি সাংঘর্ষিক ঘটনার প্রতিবাদের ছাত্রদের নিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেন তিনি। গণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের সাথী হয়ে প্রতিবাদী এ যুবক নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদক কারবারী, জুয়া খেলাসহ সামাজিক সংকটে প্রতিবাদী হতে তার দ্বিধা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় লালমনিরহাট কলেজে ছাত্র থাকার সময় তিনি ছাত্রলীগ জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ও পরবর্তীতে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন নির্ভরতার সাথে দীর্ঘদিন।
পেশাগত জীবনঃ ১৯৮০ সালে আইন পেশায় প্রবেশের পর তিনি পেশাগতভাবে খ্যাতির শিখরে আরোহন করেন। তাঁর সিনিয়র ছিলেন প্রয়াত অ্যাড. ফজলুর হক খন্দকার। দিনের পর দিন পড়াশোনা করে এবং সিনিয়র আইনজীবিদের সান্নিধ্যে তিনি লালমনিরহাটের খ্যাতনামা উকিল হিসেবে সর্বজনমান্য হয়ে ওঠেন। পেশাগত কারণেও তিনি অন্যায় কিংবা মানবতা বিরোধী কোন মামলা পরিচালনা করেন নি। আইনজীবিদের নানাবিধ সমস্যার সমাধানে তাঁর বিভিন্ন সময় অগ্রণী ভূমিকা এবং কল্যাণকর কার্যক্রমের জন্য তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করাঃ অ্যাড. মতিয়ার রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম, সহযোগী সংগঠনগুলোকে চাঙ্গা করা এবং উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের প্রতি মনোনিবেশ করেন। আওয়ামী লীগের আদর্শ ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই ইতোমধ্যে দলে যোগদান করেছেন। নেতা-কর্মীদের জনপ্রিয় এই নেতা শোকে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় সব সময় তাদের পাশে থাকার সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তি অর্জন করেছে। বিগত বিএনপি-জামাত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মিথ্যা মামলায় ২০০২ সালের ২৮ এপ্রিল অ্যাড. মতিয়ার রহমান কারাবরণ করেন। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার অপচেষ্টা চালানো হয় এবং তাঁর বাড়ীতে হামলা ও লুটপাট করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পূর্ব সময়ে তিনি দুইবার কাউন্সিলের মাধ্যমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্বৈরাচারী শোষণের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিভিন্ন তৎপরতা করেন এ সময়। জেল, জুলুমের ভয় উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন সাহসিকতার সাথে ‘৯০-এর গণ অভ্যুত্থানের সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন রাজপথের চিরচেনা মুখ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত ১৫ দলীয় জোটের সক্রিয় নেতা অ্যাড. মতিয়ার রহমান হরতাল, জনসভা, বিক্ষোভসহ সকল কর্মসূচি সফল করার রূপকার ছিলেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ২০০১-২০০৬ আমলে প্রায় ৫৭টি রাজনৈতিক হয়রানী ও মিথ্যা মামলা তাঁর মাথায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়। অ্যাড. মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হলে ২০০৩ সালে তিনি দৃঢ়তার সাথে মহামান্য হাইকোটে মামলাটি চ্যালেঞ্জ করেন। মহামান্য হাইকোট মামলাটি স্থগিত করেন; জোট সরকার মামলাটি উঠিয়ে নেন ফলস্বরূপ দেশের হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জোট সরকারের দ্রুত বিচার আইনে মামলা হতে নিস্পতি পায়।
বিগত মহাজোট সরকারের পাঁচবছর ও বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ১৪বছর পার করলেও অ্যাড. মতিয়ার রহমান জনগণের কাছে জনপ্রিয়। দল ক্ষমতায় থাকলেও নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাওয়া-পাওয়া থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু জননেতা অ্যাড. মতিয়ার রহমান তাঁর আইন পেশার মাধ্যমে অর্জিত আয় দিয়েই জনগণের সেবা করে চলেছেন। পিতার মহান আদর্শে লালিত উপযুক্ত সন্তান অ্যাড. মতিয়ার রহমান সত্যিকার অর্থেই একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব। অ্যাড. মতিয়ার রহমান সম্পর্কে কিছু উপদেষ্টা তাঁকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করতে সচেষ্ট আছেন। তিনি বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কোন কোন নেতা যারা তাঁর এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধাচারণ ও ক্ষতি করেছেন- এমন ব্যক্তিদেরও ক্ষমা করে দিয়েছেন যাকে তারা নির্বুদ্ধিতা মনে করেন। এমন অনেকে মনে করেন যারা অ্যাড. মতিয়ার রহমানের সঙ্গে মেশার সুযোগ পেয়েছেন তারা জানেন মতিয়ার রহমান একজন পরমবন্ধু। গম্ভীর চেহারার আড়ালে লুকিয়ে আছে এক শিশুমন।
জেলার বিশিষ্টজনের দৃষ্টিতে অ্যাড. মতিয়ার রহমান লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে লালমনিরহাট আওয়ামী লীগ একটি মজবুত বুনিয়াদ গড়ে তুলেছেন।
অ্যাড. মতিয়ার রহমান জেলা পরিষদের প্রশাসক হতে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলার দুঃস্থ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের দুঃখ-বেদনার লাঘব, সরকারি আনুকুল্যে তাদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম দীর্ঘদিন থেকে অব্যাহত রেখেছেন। জেলার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করেন। সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের তদারকিসহ শেখ রাসেল শিশু পার্কের উন্নয়ন, বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণ, মসজিদ-মন্দির সংস্কারসহ নানামূখী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
পারিবারিক জীবন, অবসর ও বিনোদনঃ অ্যাড. মতিয়ার রহমান বাল্যকাল থেকেই ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নন। আপাদ্বমস্তুক অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে পড়াশুনার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ থাকায় শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিয়মিত পড়াশুনা চালিয়ে যান। সামাজিক মানুষ হিসেবে প্রায় প্রত্যেকের ব্যক্তিগত খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন, যে কোন জানাযা কিংবা ওয়াজ মাহফিল এমনকি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁর সরব উপস্থিতি সকলকেই আকৃষ্ট করে।
ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বিউটি একজন সফল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। লালমনিরহাটে সাহিত্যাঙ্গণে তাঁর অবদান অসামান্য। বিভিন্ন গবেষণাধর্মী বই, কবিতার বই লালমনিরহাট জেলার স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের লেখা বইয়ের প্রকাশনা এবং সম্পাদনা করে তিনি এ জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গণের প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত। তাঁর স্বামী অ্যাড. মতিয়ার রহমান শত ব্যস্ততার মাঝেও স্ত্রীর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সাহস ও সহযোগিতা যুগিয়ে চলেছেন। মিষ্টি মেয়ে নিশাত রিদওয়ানা সেজুঁতি তাঁদের একমাত্র সন্তান। এক সময় অ্যাড. মতিয়ার রহমান ভালো ভলিবল খেলতেন, এছাড়াও ফুটবর, হা-ডু-ডু তাঁর প্রিয় খেলা। ক্রীড়াপ্রেমিক মতিয়ার রহমান অবসরে বড়শী কিংবা জাল নিয়ে নেমে পড়েন গ্রামের প্রিয় পুকুরে মাছ ধরার জন্য।
শৈশব, কৈশর তারুণ্য অতিক্রম করে জীবনের পরিণত সময়ে উপনীত হওয়ার প্রতিটি পর্যায়ে সুস্থ্য, গঠনমূলক ও মানবতা পুষ্ট মানসিক বিকাশের অনুকুলে পরিবেশে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব অর্জনের সৌভাগ্যবান কৃতি সন্তান জীবন সংগ্রামে নিরন্তর পথচলা বর্তমানের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান। তাঁর বর্তমান অর্জনের নেপথ্যে শক্তি হিসেবে কাজ করেছে অন্যায় অসুন্দর ও অনৈতিক কাজের বিপক্ষে দুঢ় অবস্থান গ্রহণ। পারিবারিক জীবনচর্চায় সুশৃঙ্খল থেকে স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সহজ সরল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে অ্যাড. মতিয়ার রহমান সমাজ ও রাজনীতির ইতিবাচক কাজে সর্বক্ষণ থাকেন অনুপ্রাণিত এবং গতিশীল। আইনপেশায় যুক্ত থেকে রাজনীতিকে তিনি মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন পরস্পরিক কল্যাণের একটি সমাজ রূপান্তরের। মানুষকে ভালবেসেই তিনি পেতে চান জীবনের সার্থকতা। তিনি লালমনিরহাটের প্রতিশ্রুতির রাজনীতির অঙ্গণে নিত্যনতুন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয় আছেন একজন রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে।
বিদেশ সফরঃ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিয়ার রহমান তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, ফ্যান্স, ইতালি, গ্রীস, দুবাই, জার্মানি সফর করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে সংযুক্ত আরব আমীরাত ভ্রমণ করার সুযোগ পান।