আলোর মনি রিপোর্ট: মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০বছর ও মহান স্বাধীনতার ৫১বছর পর্দাপণ করলেও লালমনিরহাট জেলায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা)য় শহীদ মিনার নেই!
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি…।” গানটি সবার মনকে নাড়া দিয়ে তুলে। বাংলার আকাশে-বাতাসে সুর ও বেদনার শুভাস ছড়িয়ে যায়।
‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে খালি পায়ে শহীদ মিনারের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি আমরা।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন ও তাঁদের বিদেয়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে হাত তুলে দোয়া করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শহীদ মিনার দেখিয়ে বুঝিয়ে দিতে হয় মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের কথা যা শুনে তাঁদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায় এবং আগ্রহ বাড়ে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তাঁদের লেখাপড়ার জন্য প্রতিনিয়ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি শহীদ মিনার না থাকে তবে তাঁর বাংলা ভাষার সেই ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনের স্বাক্ষী শহীদ মিনার নেই।
তাই সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবী।
লালমনিরহাট আদর্শ কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য পাশ করা ছাত্র মোঃ রিজভী আহমেদ সৌরভ বলেন, আমি পঞ্চম শ্রেণী পাশ করেছি কোদালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সেখানে শহীদ মিনার নেই। কিন্তু ৬ষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণী পড়েছি ভাটিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে সেখানে শহীদ মিনার আছে। এদিকে লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণি ও এসএসসি পাশ করেছি সেখানে শহীদ মিনার আছে, অপরদিকে লালমনিরহাট আদর্শ কলেজে আবার শহীদ মিনার নেই। এটি আমাদের মাতৃভাষাকে শহীদ মিনার স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বাংলা ভাষার জন্য আমাদের দেশের দামাল ছেলেরা রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে, যা অন্য কোন দেশে বিরল। এ কারণে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা এ জন্য গর্বিত বাঙ্গালী জাতি। আমি চাইবো প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হোক।