আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটে বিদ্যুতায়নের ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাবলম্বী হচ্ছে দিনকে দিন। লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নেসকো লিমিটেড লালমনিরহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এর মাধ্যমে জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়নের ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে নারী-পুরুষ উভয়ের কর্মক্ষেত্র। ফলে স্বাবলম্বী হচ্ছে লাখো প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। আর তাদের কর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে কাজ করে যাচ্ছেন লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নেসকো লিমিটেড লালমনিরহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারি উদ্যোগে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নেসকো লিমিটেড লালমনিরহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নেসকো লিমিটেড লালমনিরহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। লালমনিরহাটের হাড়ীভাঙ্গা ও সাপটানায় এর দপ্তর। লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নেসকো লিমিটেড লালমনিরহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে লাইন নির্মাণের মাধ্যমে গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করেছে। এদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুত “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গৃহীত বিদ্যুতায়নের ফলে সর্বস্তরে কৃষি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। অপরদিকে ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ শিল্প কল-কারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের হয়েছে কর্মসংস্থান। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বেড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাখছে মুখ্য ভূমিকা। লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নেসকো লিমিটেড লালমনিরহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এর গ্রাহকের মধ্যে জেলা শহরের চেয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সংখ্যাই বেশি। বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে ওই সকল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে এখন গড়ে উঠছে নানা ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও জড়িয়েছেন বিভিন্ন কর্মে। বিদ্যুৎ এর আলোয় গভীর রাত পর্যন্ত চলে নানামূখী কর্মযজ্ঞ। ফলে তাদের প্রত্যেকের ৩ থেকে ৪ঘন্টা করে বেড়েছে কর্মঘন্টা। একই সাথে আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুন। এতে অধিকাংশ পরিবারই হয়ে উঠছে এখন স্বাবলম্বী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় পোল্ট্রি ফার্ম, টার্কি ফার্ম, বাড়িতে বাড়িতে উন্নতজাতের গাভী ও গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। যার প্রায় সবগুলোই জেলা শহরের চেয়ে প্রত্যন্ত গ্রামেই বেশি। সেই সঙ্গে পুকুরে মাছের চাষে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে মাছের চাষ করা হয়। আর বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প ব্যবহার করে কৃষি ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে অধিক হারে। এখন আর কোনো জমিই পতিত থাকছেনা। আজকের লালমনিরহাটের যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান উৎস হচ্ছে এই বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ এর সরবরাহ ব্যাহত হলে লালমনিরহাটের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। তাই বিদ্যুৎ এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ফুলগাছ গ্রামের মোঃ সাহেব আলী বলেন, আমার বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করে এলাকার কৃষকরা কৃষি ফসল উৎপাদন করছে। এখন আর কোনো জমিই পতিত থাকছেনা। সব জমিতেই ফসল ফলছে।
কোদালখাতা গ্রামের আজিজুল হক বলেন, আমি এ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পোল্ট্রি ফার্ম ও উন্নতজাতের গাভী পালন করছি। যা থেকে প্রতিদিন ডিম ও দুধ পাচ্ছি।
ভাটিবাড়ী বাজারস্থ ওয়ার্কসপ মালিক গমীর আলী বলেন, আমার ওয়ার্কসপে প্রতিদিন কয়েকজন কর্মচারী কাজ করে। তাদের কর্ম নির্ভর করে বিদ্যুৎ এর উপর। আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ আসার পড় থেকে সবাই কম বেশি তা কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে।