আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলায় বাঁশ বাগানের পরিমাণ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন, আগে জমির দাম কিছুটা কম থাকায় বাঁশ ঝাড়গুলো সংরক্ষিত ছিলো। এখন জমির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় বাঁশ ঝাড় কেটে জমি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব জায়গায় গড়ে ওঠেছে মানুষের বসতিসহ নানান স্থাপনা। এছাড়া ইটভাটার জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে এসব বাঁশ।
ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ সাহেব আলী বলেন, আগে আমাদের বাঁশ ঝাড় অনেক বড় ছিলো। এখন এর প্রতি গুরুত্ব না দেয়ায় অনেক কমে যাচ্ছে। কারণ বাঁশ ঝাড় ভেঙ্গে ফসলি জমি বের করছি। এতে বছরে তিনটি ফসল হচ্ছে।
বাঁশ ব্যবসায়ী মোঃ নায়েব আলী বলেন, বাঁশ ঝাড় কমে যাওয়ায় এখন বাঁশ আর সহজলভ্য নয়। এ কারণেই দিনে দিনে বাড়ছে বাঁশের দাম। কিছু দিন আগেও একটি বাঁশের দাম ছিলো ১০০ টাকা। এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ২শত ৫০টাকা থেকে ৩শত টাকা।
তিনি আরও বলেন, বাঁশ ঝাড়গুলো নিধন হচ্ছে। পুনরায় জন্ম নিচ্ছে না। তাই আমাদের বাঁশ কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বাঁশের আগের মতো বাঁশ ঝাড় নেই।
উল্লেখ্য যে, পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষি সহায়ক উপাদান হিসেবে বাণিজ্যিক ভাবে বাঁশ চাষের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে তৎপর হতে হবে।