আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের কৃষকরা শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে মাঠে কাজ করতে শ্রমিকরা বেশি টাকা চাচ্ছেন। ইরি-বোরোর মৌসুমের শুরুতেই বেড়ে যাচ্ছে ধান চাষের উৎপাদন খরচ। এখন খরচ বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী নেই কৃষকদের ধানের দাম। প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়ে না উৎপাদিত ধানের দাম। উল্টো কমে যায় ধানের দাম। এ জন্য হতাশা প্রকাশ করেন কৃষকেরা। লালমনিরহাট জেলার প্রধান অর্থকরি ফসল হচ্ছে ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই লালমনিরহাট জেলায় এ বছর প্রায় ৮০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত মৌসুমের চেয়ে বেশি চাষাবাদ হবে, ফলনও বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ জমি চাষ দিয়ে প্রস্তুত করছেন, কেউ বীজ তুলছেন, আবার কেউ চারা লাগাচ্ছেন।
ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হয়রত আলী, মোঃ সাহেব আলী জানান, জমি চাষ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরি ও সেচের পানিসহ সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন খরচ অনুয়ায়ী ধানের দাম কম। জীবন বাঁচার তাগিদে শীত ও সব খরচকে উপেক্ষা করে ইরি-বোরো ধানের চাষ করছি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.