আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ৭নং দহগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত দহগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপি ও অনিয়মের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় লালমনিরহাট জেলা শহরের ষ্টেডিয়াম চত্ত্বরে লালমনিরহাট বার্তা কার্যালয় এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ৭নং দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য পদে ভ্যানগাড়ী মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থী বুলবুল সরকার বুলু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বুলবুল সরকার বুলু বলেন, আমি মোঃ বুলবুল সরকার (বুলু), পিতা- মৃতঃ মফিজ উদ্দিন, সাং- দহগ্রাম, ওয়ার্ড নং- ০৮, ডাকঘর- দহগ্রাম, উপজেলা- পাটগ্রাম, জেলা- লালমনিরহাট। গত ০৫/০৫/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ২০২২-এ আমি পাটগ্রাম উপজেলার অন্তর্গত ৭নং দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য পদে ভ্যানগাড়ী মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করি। দহগ্রাম ইউনিয়নের দহগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভোট গ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলাফল মোতাবেক আমার ভ্যানগাড়ী মার্কায় ২১২টি ভোট এবং আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি সৈয়দ বাবুল প্রধান-এর মোরগ মার্কা ২৬৮টি ভোট পায় মর্মে ঘোষনা প্রদান করেন। কিন্তু মোরগ মার্কার ২৬৮টি ব্যালটের মধ্যে আমার ভ্যানগাড়ী মার্কাসহ অন্যান্য প্রার্থীর ব্যালট সংযোজন করা হয়। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ৭৭৫। আমার নিযুক্ত এজেন্ট মোঃ হাফিজার রহমান (৩৫), পিতা মৃতঃ আমিনুর (মুন্সি), সাং- দহগ্রাম মুন্সি পাড়া বাধা প্রদান করলে তার স্বাক্ষর (ফরম-ঞ-১) ছাড়াই ফলাফল ঘোষনা করেন। আমার ভোট কেন্দ্র দহগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্তু আমার এজেন্টকে সৈয়দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র নামের একটি ফলাফল শীট প্রদান করেন। অথচ দহগ্রাম ইউনিয়নে ঐ নামে কোন ভোট কেন্দ্র নেই। এছাড়া ভোটগ্রহনের সময় মোরগ মার্কা সমর্থিত কিছু ভোটার দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার এ.কে.এম ফজলুল (সুপারিনটেনডেন্ট, বাউরা দাখিল মাদ্রাসা, মোবাইল নং ০১৭১৪-৮০২৮৮৮) এর সহায়তায় সুক্ষ্ম কারচুপিতে ও একই ফিঙ্গার প্রিন্টে একাধিক ভোট প্রদান করা হয়। সুক্ষ্ম কারচুপিতে উক্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পোলিং অফিসার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন। ফলাফল ঘোষণা শেষে সামগ্রিক বিষয়টি আমার নিযুক্ত এজেন্ট আমাকে অবগত করলে, আমি স্ব শরীরে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারের দেখা করে পুনরায় ভোট যাচাই বাচাই করার অনুরোধ জানাই। কিন্তু বিষয়টি তিনি আমলে না নিয়ে তড়িঘড়ি করে ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত সকল সরঞ্জাম ও জনবল নিয়ে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, উক্ত কেন্দ্রটিতে ফরম ঞ-১ এ প্রতিদন্দী প্রার্থী/ নির্বাচনী এজেন্ট ও পুলিং এজেন্টদের নাম সাক্ষর ছাড়াই ফলাফল প্রদান করা হয়। এতেই সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হয় যে, কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গণনার ফলাফলে কারচুপির আশ্রয় নিয়েছেন। এমতাবস্থায়, আমার উক্ত কেন্দ্রের ব্যালট পেপারের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহণ স্থগিতকরণ পূর্বক নিরপেক্ষ ফলাফল ঘোষনার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। উক্ত আবেদনের অনুলিপি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস রংপুর অঞ্চল, রংপুর, জেলা নির্বাচন অফিসার, লালমনিরহাট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট, সভাপতি/ সাধারন সম্পাদক, প্রেসক্লাব, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট প্রদান করা হয়েছে।