আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ধরলা নদীর ওয়াপদা বাজার-বাড়ীবনমালী পর্যন্ত ওয়াপদার বাঁধ। একদিকে, ধরলা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে বাড়ছে অতিরিক্ত পানি। অন্যদিকে, নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা বাঁধ।
বর্তমানে এ দুই কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নবাসীর। কুলাঘাট এলাকার ৪টি গ্রামের ধরলা নদীর কয়েক কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। এ কারণে প্লাবনের আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
উত্তরের এই জনপদের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি এবং প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
জানা যায়, লালমনিরহাট সদরের কুলাঘাটের বাড়ীবনমালী, চরকুলাঘাট, চর সোনাইকাজি, চরখাটামারী ধরলা নদী ভাঙ্গন এলাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধরলা নদীর ওয়াপদা বাজার-বাড়ীবনমালা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার ওয়াপদা বাঁধ রয়েছে।
লালমনিরহাট সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নের মহর খলিফার বাড়ি (ওয়াবদা বাজার), চানমিয়ার বাড়ি, অহেদ আলীর বাড়ি, জয়নাল মাস্টারের বাড়ি (ঝগড়ির বাজার), জুরান আলীর বাড়ি, মহর মিয়ার বাড়ি (উত্তর খাটামারী), রুস্তম আলীর বাড়ি, নুরবারিকের বাড়ি, দুলাল হোসেনের বাড়ি, (চরখাটামারী মামা-ভাগিনা বাজার) সবচেয়ে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।
জলবায়ু পরিবর্তন ও ভৌগোলিক কারণে দুর্যোগের শিকার ধরলা পাড়ের মানুষ। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওয়াপদা বাঁধ এলাকার মানুষের চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বাঁধে নিয়মিত মাটির কাজ না হওয়ায় বাঁধের বেশির ভাগ ধসে গেছে। বর্তমানে নাজুক আকার ধারণ করেছে এ বাঁধটি।
এর আগে ২০১৭ সালের ওয়াপদা বাঁধ ভেঙে উক্ত এলাকা প্লাবিত হয়। নষ্ট হয় লাখ লাখ টাকার মৎস্য ও জমির ফসল। বন্যার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মোঃ আসাদুল হক, মোঃ আবু সাঈদ মোল্লা, মোঃ আশরাফুল হক বলেন, ধরলা নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বাঁধ যদি উঁচু করা হতো, তাহলে পানি লোকালয়ের ঢুকতে পারত না। তাই বাঁধের জরুরী সংস্কার দাবি করছি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.