আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় সংঘবদ্ধভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় ৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন হাড়ীভাঙ্গায় দীর্ঘদিন যাবত খাদ্যদ্রব্য ও ডিলারশিপের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল আসাদুজ্জামান রোকন (৩৫)। রোকনের দোকানের পিছনে বেশ কিছুদিন যাবত কয়েকজন মাদকসেবী মাদক গ্রহণ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে রোকনের দোকানের পিছনে মানিক হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (১৯) এবং মনসুর আলীর দুই ছেলে মানিক মিয়া (৩৮) ও সুমন (৩০) সংঘবদ্ধভাবে মাদক সেবন করতে থাকে। মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ার কারনে ঝগড়া ঝাটির একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাদকসেবীরা রোকনকে দোকানের সামনেই লাঠিসোটা ও ধারালো ছুরি দিয়ে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে রোকনের ছোট ভাই আরিফুজ্জামান (২৮) ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে দুজনেই রক্তাক্ত ও গুরুত্বরভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপস্থিত জনতা বাঁধা দিলে মাদকসেবীরা রোকন ও আরিফুজ্জামানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় উল্লেখিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি লালমনিরহাট সদর থানার এস আই সাদ্দাম হোসেন তদন্ত করার ৩/৪দিন অতিবাহিত হলেও মামলা রের্কডে পুলিশের গড়িমসি অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে এস আই সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দুপক্ষেই থানায় অভিযোগ করেছে। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার সময় নিয়েছেন। মিমাংসা না হলে মামলা রের্কড করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম সাংবাদিকদের জানান, লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।