আলোর মনি রিপোর্ট: বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল লালমনিরহাটে স্ত্রী উদ্ধারের মামলা করলেন স্বামী। এ ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুড়াকুটি গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুড়াকুটি গ্রামের মৃত আব্দুস ছোবাহানের পুত্র মোতালেব হোসেন (৩৯) একই এলাকার বিনয় কৃষ্ণ রায়ের কন্যা মোছাঃ লুনা বেগম (পূর্ব নাম- দিপিকা রাণী) (২৫) এর সহিত ০৮/০৩/১৭ইং তারিখে নোটারী পাবলিকের কার্য্যালয়, রংপুর ১৭৮৮/১৭ নম্বর এফিডেভিট মুলে মুসলমান হয়ে তার ঘোষণা প্রদান করেন। এবং ঐ দিনেই মোতালেব হোসেন এর সহিত ১৭৮৯/১৭ইং এফিডেভিট মুলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে উক্ত বিবাহের ঘোষণা প্রদান করেন। ০৮/০৩/১৭ইং তারিখ হইতে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ৪বৎসর ৭মাস স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ঘর সংসার করেন এবং লুনা বেগমকে স্ত্রী হিসাবে লেখাপড়া করে অনার্স পাশ করান।
মোতালেব হোসেন বলেন, লুনার মুসলমান হওয়া ও আমার (মোতালেব) এর সাথে বিবাহেব সম্মতি ছিল লুনার বাবা বিনয় কৃষ্ণ রায় সে সুবাধে লুনার গরীব বাবা-মাকেও আর্থিক ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করি, লুনার বাবা গরীব হওয়ায় তার বোন শ্রীমতি হিরা রাণী বিবাহের যৌতুক হিসাবে হিরার ও তার স্বামী শ্রী পরিতোষ বর্মণকে নিজ নামিও ১৭শতক জমি ও নগদ ২লক্ষ টাকা প্রদান করেন বলে জানান লুনার স্বামী মোতালেব।
মোতালেব হোসেন আরও বলেন, স্ত্রী লুনা বেগমের নামে আরডিআরএসে প্রতি মাসে ৩হাজার ও সীমান্ত ব্যাংকে প্রতি মাসে ১হাজার টাকা করে মোট ৪হাজার টাকা ডিপোজিট করেন। লুনা বেগমের নামে ৫বৎসরে আজ প্রায় ২লক্ষ টাকা জমা হয়।
আজ প্রায় ১মাস মোছাঃ লুনা বেগমে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলার ১নং আসামী শ্রী পরিতোষ বর্মণ (৩৮) তার মীরবাগের গোপাল গ্রামের বাড়িতে জোর পূর্বক আটকে রেখেছে বলে বাদী ও শ্রী পরিতোষ বর্মণের এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে গত ২৭/০৯/২০২১ইং তারিখে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, লালমনিরহাট এ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পিটিশ মামলা দায়ের করেন। যাহার পিঃ নং ৮০/২১ যাহা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.