আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
কালীগঞ্জ উপজেলার বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১৯ সালে ৪তলা আইসিটি ভবনের বরাদ্দ পায় বিদ্যালয়টি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়টির পূর্বের ভবন ওয়াকশন না দিয়ে ভবনটি ভেঙ্গে তার সামগ্রী আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লা। তিনি স্কুলের পুরনো বিল্ডিংয়ের ওয়াকশনে না দিয়ে অফিস কক্ষের ২রুম ও ক্লাসরুমের ৬টি কক্ষ ভেঙ্গে পুরাতন ইট, গুড়া বালু, টিন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিজের বাড়ির দেয়াল ও গোডাউনের কাজে লাগান এবং অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে আনুমানিক ১০লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, পরিত্যাক্ত জিনিসপত্র নিলাম বা ওয়াকশনে নিলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং সরকার ১০লক্ষ টাকা পেতো কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য তিনি কোন প্রকার নিলাম বা ওয়াকশন না দিয়ে গোপনে উক্ত মালামালগুলো বিক্রয় ও নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে ও বিক্রয়কৃত টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা প্রদান না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন।
শুধুমাত্র তাই নয় প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে রাতারাতি মনগড়া বিদ্যালয় কমিটি গঠন করে এবং সেই কমিটি দ্বারা নিয়োগ বাণিজ্যসহ রাতারাতি কতিপয় লোকের সহযোগীতায় রাস্তার গাছ কাটে যার আনুমানিক মূল্য ৫লক্ষ টাকা। এই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ায় একক ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠানের গাছ আরও কয়েক ধাপে কেটে আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে বাবুর আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোল্লার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।