আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী কামরুজ্জামান কাজলকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদি ফাতেমা বেগম।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের সম্মেলন কক্ষে ফাতেমা বেগমের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সরবরাহকৃত লিখিত বক্তব্য ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছর এপ্রিলের ১২ তারিখে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বড় বাশুরিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান কাজল প্রতিবেশী ঝালমুড়ি বিক্রেতা নুরুজ্জামানের মেয়ে (১৮) কে আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে বসত বাড়ি লাগোয়া বাথরুমের পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটির আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
পরে এ সংক্রান্তে মেয়েটির মা ফাতেমা বেগম (৪২) লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে লালমনিরহাট সদর থানা কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করেন।
সম্প্রতি সময়ে ভুক্তভোগী পরিবার জানতে পারে আসামী কামরুজ্জামান কাজল তথ্য গোপন করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন এবং বর্তমানে তিনি প্রশিক্ষণে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী ফাতেমা বেগম বলেন, আমি গত ১৯/০৪/২০২০ইং তারিখে বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছি। যাহার মামলা নং ২০/২২৪। এখন বিভিন্নভাবে আসামী তার ক্ষমতা দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
এমন ঘটনার পর প্রাণভয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় হাজির হয়ে ভুক্তভোগী ফাতেমা গত ০২/০৫/২০২১ইং তারিখে একটি সাধারণ ডাইরী করিলে তা থানায় নথিভূক্ত হয় যাহার নম্বর- ৭৭৭। তদন্তে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন শেষে চলে আসবার পর আবারও ঐ আসামী কামরুজ্জামান কাজলের বাবা আনোয়ার হোসেন ও তার আত্মীয়-স্বজনসহ লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ফাতেমার বসত বাড়িতে এসে সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি-ধামকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বলে এবং একেক সময় ভিন্ন-ভিন্ন ফোন নম্বর থেকে মোবাইলে জঘন্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করে। এ সংক্রান্তেও লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি করেন ঐ মামলার বাদি ফাতেমা বেগম। যাহার নম্বর- ১৩৬৯ তারিখ-২৫/০৮/২০২১।
এর আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি আপষ-মিমাংসার চেষ্টা করে তাদের উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে মেয়েটির সাথে কাজলের বিয়ে দিবে মর্মে শালিসের রায় দেয়। যা আসামী পক্ষ মেনে নেয়। পরে কাজলের অভিভাবক তাকে সু-কৌশলে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে।
এ সময় মামলার বাদি ফাতেমা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমি নিতান্তই গরীব আমার স্বামী পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
এমতাবস্থায় নিতান্তই নিরুপায় হয়ে আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিগোচর করতে আজকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমার মেয়ে আপনাদের কারো বোন, কারো মেয়ে এমনটা ভেবে তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনাদের লিখনির মাধ্যমে সুবিচার পেতে গরীব এই পরিবারটিকে সহযোগিতা করবেন।