আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় অপহৃত কিশোরীর সন্ধান পাওয়ার ২৬দিন পেরিয়ে গেলেও কিশোরীকে উদ্ধার ও মামলা নথীভুক্ত করেনি আদিতমারী থানা পুলিশ। এদিকে অপহরণের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহার নামীয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, লালমনিরহাট
জেলার আদিতমালী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের চওড়াটারী এলাকার হামিদুল ইসলামের কন্যা আরজু আক্তার জুঁই (১৪) স্থানীয়
একটি প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। পার্শবর্তী বানিয়াটারী এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমানের বখাটে নাতী নাইম হোসেন (১৯) নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে ওই নাবালিকা কিশোরীকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো। মাঝে মধ্যে নাইমের খালু প্রতিবেশি হালিমের বাড়িতেও বেড়াতে এসে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় নাইম ও আরও কয়েকজন মিলে ওই নাবালিকা কিশোরীকে অপহরণ করে। পরদিন প্রতিবেশি হালিম খবর দেয় নাবালিকা ওই কিশোরী নাইমের নিজ বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার হলুদিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। পরে কিশোরীর বাবা হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাবালিকা কন্যাকে ফেরত পেতে নাইমসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহার দায়েরের ১৪দিন পর থানার এসআই মিজানুর রহমান এজাহার নামীয় আব্দুল হালিম নামে এক অভিযুক্ত আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অজ্ঞাত কারনে ওইদিন বিকালেই আদিতমারী থানা পুলিশ সেই অভিযুক্ত আব্দুল হালিমকে ছেড়ে দেয় এবং নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে দিয়ে ঘটনা মিমাংসা করে নেয়ার কথা বলে।
এ সময় অভিযুক্ত ছেলে নাইমের বাবা আজাদুল হক নাবালিকা কন্যাকে যৎ সামন্য টাকা দেন মোহরানায় তার ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার চাপ দেয়। কিন্তু ওই কিশোরীর বাবা হামিদুল ইসলাম নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে না দিয়ে ছেলের বাড়ি থেকে ফেরত আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
নাবালিকা মেয়ের বাবা হামিদুল ইসলাম অনুনয়ের সাথে আরও বলেন, আমার মেয়ের বয়স তের বছর আট মাস, সে বিয়ের কি বোঝে, আপনারা স্যার আমার মেয়েকে আনার ব্যবস্থাা করে দেন। আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলতে পারে, তাই আমার মেয়েকে আমি ফিরত চাই।