আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রায় ৪কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। গাছ কাটতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় ডাইরী হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ড ময়দান হইতে বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের সীমানা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দুই ধারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে ৩হাজার গাছ কেটেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সচেতন মহলের পক্ষে বুড়া সারডুবি গ্রামের মৃত ছকমল খাঁয়ের ছেলে আব্দুর রহমান উক্ত গাছ কাটা নিয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতির কথা শুনে, বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল (সোহেল) তার মুটোফোনে অভিযোগকারী আব্দুর রহমানকে হুমকি প্রদান করেন। পরে গত রোববার (৮ আগস্ট) আব্দুর রহমান হুমকীদাতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় গত তাং ০৮/০৮/২১ একটি ডায়েরী করেন যাহার নং-৩৫০।
অভিযোগকারী আব্দুর রহমান জানান, কিছু সংখ্যক লোক গত কয়েকদিন ধরে অবৈধভাবে গাছগুলি কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল (সোহেল) মুটোফোনে হুমকি দেয়। গাছ কাটার বিষয় আমি যেন মাথা না ঘামাই সে বিষয়ে বিরত থাকতে বলেন।
আব্দুর রহমান আরও জানান, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস লিটনসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস লিটন তার বিষয়ে আনিত অভিযোগ এর কথা অস্বীকার করেন এবং বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল এর সাথেও যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত ও হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।