শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের
সেই শতবর্ষী বৃদ্ধাকে গলাধাক্কা দিয়ে জখম করা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী গ্রেফতার

সেই শতবর্ষী বৃদ্ধাকে গলাধাক্কা দিয়ে জখম করা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী গ্রেফতার

আলোর মনি রিপোর্ট: ত্রাণের স্লিপ চাওয়ায় শতবর্ষী বৃদ্ধাকে গলাধাক্কা দিয়ে গুরুত্বর জখম করার মামলায় লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে আহত শতবর্ষী বৃদ্ধা আলেমা বেওয়ার ছেলে নুরুজ্জামান বাদী হয়ে চেয়ারম্যান শওকত আলী, তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৫) ও মেয়ে সুহিন আক্তারের (১৯) বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আহত বৃদ্ধা আলেমা বেওয়া আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি মদনপুর গ্রামের মৃত ছপির উদ্দিনের স্ত্রী ও রিকশাচালক নুরুজ্জামানের মা।

 

জানা যায়, অতি দরিদ্র আলেমা বেওয়া রিকশাচালক ছেলে নুরুজ্জামানের সংসারে বসবাস করেন। সম্প্রতি করোনার লকডাউনে রিকশাচালক ছেলের আয় রোজগার কমে যাওয়ায় নিদারুন অর্থ কষ্টে পড়ে পরিবারটি।

 

ঈদের কিছুদিন আগে পলাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে বৃদ্ধা আলেমার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি গ্রহণ করেন। সেই ত্রাণ নিতে সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান। সকালে পান্তা ভাত খেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চলে যান। তখন চেয়ারম্যান তার বাড়িতে রাখা স্লিপ নিয়ে আসতে বললে বৃদ্ধা পরিষদের পাশে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। সেখানে দুপুর পর্যন্ত স্লিপের জন্য অপেক্ষা করেন ক্ষুধার্ত বৃদ্ধা। এরই মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষ করে চেয়ারম্যান বাড়িতে চলে আসলে স্লিপ দাবি করেন বৃদ্ধা। এ সময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৫) ও মেয়ে সুহিন আক্তার (১৯) বৃদ্ধা আলেমাকে গলা ধাক্কা দিলে ক্ষুধার্ত বৃদ্ধা মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় তার দাঁত ভেঙে রক্ত ঝরতে থাকে এবং হাত, পা ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। বিপদ দেখে দ্রুত পল্লী চিকিৎসক নিয়ে নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন চেয়ারম্যান। মায়ের অসুস্থতার খবরে রিকশাচালক ছেলে নুরুজ্জামান স্থানীয়দের সহায়তায় বৃদ্ধা আলেমাকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত বৃদ্ধার ছেলে নুরুজ্জামান বাদী হয়ে চেয়ারম্যান শওকত আলীকে প্রধান অভিযুক্ত করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে খবর প্রকাশিত হলে আহত বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ান আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। বৃদ্ধাকে অর্থ সহায়তাসহ ন্যায় বিচার পাইয়ের দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে থানা পুলিশ। সেই মামলায় বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্ত্রী আনোয়ারা বেগমসহ চেয়ারম্যান শওকত আলী আদিতমারী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

আদিতমারী থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone