শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তায় তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার! পাটগ্রাম প্রেসক্লাবে চুরি! লালমনিরহাটে স্থানীয় রাজনীতি ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা/ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সহিংসতা অবসানের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত ঢাকাস্থ লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ এর আংশিক কমিটির অনুমোদন লালমনিরহাটে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শামীম কামাল-এঁর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের হরিণচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের খোড়াগাছ দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

অবশেষে জলিলের হত্যার জট খুললেন পুলিশ

হেলাল হোসেন কবির: পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের কারনে আব্দুল জলিলের হত্যার জট খুলে গেল।

 

জানা যায়, গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার কাচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের মৃত্য হয়। পরের দিন সকালে লোকজনকে জলিলের বউ মমিনা বেগম বলেন তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

 

পরে নামাজের জানাজা শেষে তাকে কবরে দাফন করা হয়। গত ২৪ জুলাই বিকালে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। সেখানে মরহুমের বউ মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সাথে একটু কথা কাটা কাটি হয়। সেখানেই রশিদের সন্দেহ জাগে যে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

 

গত ২৫ জুলাই আব্দুর রশিদ লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও লালমনিরহাট সদর থানা বরাবর লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযোগ সূত্রে ধরেই লালমনিরহাট অতিরিক্ত  পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান ঘটনা স্থানে যান। সেই রাতে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইইনচার্জ শাহা আলম ও এস আই সাদ্দাম হোসেন বেশ কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালমনিরহাট সদর থানায় নিয়ে আসেন। গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করে সবাইকে ছেড়েও দেওয়া হয়। পুলিশ যেন কোন কিছুই বুঝতে পারছে না। অবশেষে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে কিছু তথ্য পান পুলিশ।

 

তারপর জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম ও স্থানীয় ঔষধ দোকানদার গোলাম রব্বানীসহ আরও ২জনকে লালমনিরহাট ডিবি কার্যালয়ে গত ২৭ জুলাই দুপুরে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে মমিনা ও রব্বানী জলিলকে হত্যার বিষয় স্বীকার করে। তারা দুজন পরকীয়া থাকার কারনে এই হত্যা করেছে বলে জানা যায়। পরে রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান মমিনাকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে এসে আলামত সংগ্রহ করেন। এই হত্যায় ২জন জড়িত থাকায় মমিনা আর রব্বানীকে আটক করে বাকি ২জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

 

আরও জানা যায়, লালমনিরহাট সদরের খুনিয়াগাছ এলাকার  শাহার আলীর ছেলে আব্দুল জলিল প্রায় ৮বছর আগে সাপটানা মাঝাপাড়া এলাকায় বউসহ বসবাস করে আসছেন। এদিকে ঢঢ গাছ এলাকায় রমজান আলীর ছেলে তিনদীঘি বাজারের ঔষধ দোকানী গোলাম রব্বানীর সাথে মমিনার পরকীয়া প্রেমে গড়ে উঠে। সেই কারনে গত ২২ জুলাই রাতে জলিলকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

 

মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদ ও ছোট ভাই দুলু জানায়, দুজন মিলে আমাদের ভাইকে হত্যা করে। অথচ স্ট্রোক করে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নাটকীয় করলো। আমরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই যে, আমাদের অভিযোগ তারাতারি আমলে নিয়েছে।

 

এ বিষয়ে লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান বলেন, অভিযোগের আলোকে বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করে মমিনা বেগম ও রব্বানীকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। তারা যে পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যা করেছে সেই তথ্য পাওয়া গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone