আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: প্রাথমিক প্যানেল চাকরি প্রত্যাশী মোঃ রোকনুজ্জামান জুয়েল সভাপতি প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশি প্রাথমিকের ২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশীদের সারাদেশে থেকে প্রায় ২৪লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫হাজার উর্ত্তীণ লিখিত পরীক্ষায়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের মতে প্রাথমিকে ভাইভায় অংশগ্রহণ করলেই ১৪ থেকে ১৫ নম্বর পেয়ে পাশ করে। এ পরীক্ষা চারধাপে সম্পন্ন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরীক্ষার পর অনেকটাই দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করে ডিপিই। সেখানে ভাইভা জন্য ডাকা হয় ৫৫হাজারেরও বেশি প্রার্থীকে। সারাদেশে ১লক্ষ ৯শত ৬৬জন শিক্ষার চাহিদা প্রদান শিক্ষা অধিদপ্তর হতে।
এবার ৫৫হাজার থেকে বাদ পড়া শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন প্যানেলের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেয়ার জন্য। এ রকম একটি মন্তব্য শিক্ষকদের ফেসবুক গ্রুপে ভাইরাল হয়েছে।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক সংকট এর সংখ্যা প্রায় ৪০হাজারেরও বেশি।
অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরাই ১৪ থেকে ১৫ টি সরকারি চাকুরির ভাইভায় অংশগ্রহণ করার পরেও কোন চাকুরি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সেই সাথে অধিকাংশ দের বয়স শেষ হয়ে গেছে।
পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
(জননেত্রী শেখ হাসিনা)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়ঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এর চূড়ান্ত নিয়োগ বঞ্চিত প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য আবেদন।
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, মমতাময়ী মা, আসসালামু আলাইকুম। আজ এমন এক সময় আপনার কাছে লিখছি যখন দেশ আপনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। জানিনা আমার এই লেখা আপনার কাছে পৌঁছাবে কিনা। তারপরও আপনাকেই লিখছি কেননা আপনিই বুঝবেন আমরা প্রায় ৩৭হাজার চাকুরি প্রত্যাশী, প্রায় ২৪লাখ প্রার্থীর সাথে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে ৫৫হাজার প্রার্থী উর্ত্তীণ হয়ে ভাইবা (মৌখিক পরীক্ষা) দিয়েছি। তার মধ্যে চূড়ান্তভাবে ১৮হাজার ১শত ৪৭জন নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হন।
চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই চাকরিতে যোগদান করবে না, অনেকেই আরো ভাল চাকুরি হয়ে গেছে। কিছু প্রার্থী আছেন যারা অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দিয়েছেন পরীক্ষা। তারাও সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
তাই ৩ থেকে ৪হাজার প্রার্থী যোগদান করবে না। তাদের পোস্ট খালি হয়ে যাবে। নতুন কিছু পোস্ট ইতিমধ্যে শূন্য হয়ে গেছে। তাই আপনার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে আকুল আবেদন, যারা লিখিত পরীক্ষার উর্ত্তীণ হয়েছে তারা নিশ্চয়ই মেধাবী। তাদের একটি মেধা তালিকা করে শূন্য পদে নিয়োগ দিতে যেন উদ্যোগ গ্রহণ করে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আপনি ইতোমধ্যে ১২লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে পৃথিবীর বুকে মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার কোন তুলনা হয় না। মানবিক দিক বিবেচনা করুন আপনি। আপনি চাইলে আমাদের একটি উপায় হবে।
আমাদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ এটাই ছিল শেষ পরীক্ষা, কারণ গত ৪বছর প্রাথমিকে নিয়োগ বন্ধ ছিল। বর্তমানে চাকরি খুব প্রতিযোগিতা পূর্ণ। আমাদের চাকুরি না হওয়াতে আমাদের আর কিছুই করার থাকবে না। আমরা পরিবার ও সমাজের কাছে বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। মুজিববর্ষের এই সময়ে আপনি আমাদের এই সুযোগটি দান করবেন, আমাদের এই একটি চাওয়া।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার হাত ধরে দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যদি সকল ক্ষেত্রে মেধাবীদের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে আপনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর এই সোনার বাংলাকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে সক্ষম হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার উপর ১৬কোটি মানুষের আস্তা রয়েছে, যতদিন আপনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
অতএব, সমীপে আকুল আবেদন এই বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক সংকট এর সংখ্যা প্রায় ৪০হাজারের ও বেশি। মেধাবী বেকারের কথা চিন্তা করে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল এর মাধ্যমে মেধা তালিকা করে নিয়োগ দানে আপনার যেন মর্জি হয়।
নিবেদক,
সভাপতি
প্রাথমিক প্যানেল চাকরি প্রত্যাশী মোঃ রোকনুজ্জামান প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশি-২০১৮, লালমনিরহাট জেলা।
ও
মোঃ মিজানুর রহমান মিজান
সাধারণ সম্পাদক,
প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশি-২০১৮,
লালমনিরহাট জেলা কমিটি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও প্রাথমিক শিক্ষা সচিব মহোদয়ের আহ্বানে সারাদেশে ধান কাটা কর্মসূচি পালন করোনা পরিস্থিতিতে লেবার সংকটের কারণে এবার হত-দরিদ্র চাষিদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী প্রার্থীরা। শুক্রবার ৮ মে সকালে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম আজাদের দুই বিঘা জমির ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
২৪ ফেব্রুয়ারি ৬১জেলায় একযোগে মানববন্ধন ৩ থেকে ৮ই মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন।
আপনার কাছে আমার আহবান থাকবে আমাদের সকল জেলার প্যানেল প্রত্যাশীদের ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজটি করার সুযোগ দিলে সকল প্যানেল প্রত্যাশী যথাযথভাবে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধ্য ও অনুগত থাকবে।