শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে শীতের দাপট লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন
অনুমতি না নিয়েই তিস্তার বুকে ১হাজার ৭শত মিটার রাস্তা নির্মাণ!

অনুমতি না নিয়েই তিস্তার বুকে ১হাজার ৭শত মিটার রাস্তা নির্মাণ!

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৌলমারী এলাকার তিস্তা নদীর বুক চিরে অনুমতি না নিয়েই নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা সড়ক। বে-সরকারি উদ্যোগে ৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে যাতায়াতে সড়কটি নির্মাণ করছে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়া লিমিটেড। এতে ক্ষতি মুখে পড়বে তিস্তা নদী পাড়ের মানুষ, ব্যাহত হবে কৃষি আবাদ। এতে সামনের ভরা মৌসুমে এলাকায় নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু প্রভাবশালী ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না কেউ। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

দেখা গেছে, মূল নদী এখন পাড় থেকে বসতভিটার দিকে এগিয়ে আসছে গেছে। আর এই ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়া লিমিটেড এর জন্য তিস্তা নদীর বুকে করা হয়েছে রাস্তা। আর এই রাস্তার কারণে নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

 

এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ থাকলেও সব নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে তারা তিস্তা নদী বুকে গড়ে তুলছে রাস্তা। নদীর সঠিক প্রবাহ বন্ধ করে অপরিকল্পিত এমন সড়ক নির্মাণে নদী ভাঙ্গার হুমকিতে স্থানীয় ৭টি ইউনিয়নের মানুষ।

 

নদীর গতিপথ পরিবর্তনে কারনে জলাবদ্ধতায় ফসলের আবাদ ব্যাহত আশংকা স্থানীয়দের।

 

স্থানীয়রা জানান, যত বাড়ি ঘর আছে সামনে সেগুলো সম্পন্ন তলিয়ে যাবে বসতবাড়ি ভেঙ্গে যাবে রাস্তা-ঘাট এবং এলাকাবাসী ক্ষতিরর মুখে পড়বে।

 

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিশ্চই এ ধরনের প্রকল্প করার আগে এই যে নদীর কোথায় কী ক্ষয়-ক্ষতি হবে এগুলো বিবেচনা করে প্রকল্প নেওয়ার কথা, আসলে এ ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য আমাদের জানা নেই।

 

এদিকে জেলা প্রশাসক আবু জাফর সাংবাদিকদের জানান, তারা বেসরকারি উদ্যোগে জমি কিনে তারা এটা করছে কিন্তু বাঁধের বিষয়টা কোম্পানী কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে কী না এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই।

 

তবে এ বিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়া লিমিটেডের কর্মকর্তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone