আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামে বস্তায় আদা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন অনেকেই। এতে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পর হাট-বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হচ্ছে, যাদের আবাদি জমি নেই তারাও ইচ্ছা করলে বসত বাড়ির আশে পাশে, আঙ্গিনায়, সুপারীসহ বিভিন্ন বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন। এক একটি বস্তায় ১টি করে বীজ আদা রোপন করে ২কেজি থেকে ৩কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। বীজ লাগানোর সময় মাটি শোধন করে নিলে আদার মড়ক লাগার সম্ভবনা কমে যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামের যোগেশ্বর রায়ের পুত্র কৃষক শ্রী জনক চন্দ্র রায় জানান, বছরের কয়েক মাস আদার দাম বেড়ে যায়। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় আদা। তাই স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদা চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে।
কৃষক শ্রী জনক চন্দ্র রায় জানান, ৪০শতাংশ জমিতে এবারে ১১হাজার বস্তাতে আদা লাগিয়েছেন। পরিবারের চাহিদার মেটানোর পরও বাড়তি আয়ের আশা করছেন তিনি।
শ্রী জনক চন্দ্র রায় আরও জানান, এবারে কৃষি অফিসের পরামর্শে বস্তায় আদা চাষ করেছি। দিন দিনে চারাগুলো পরিপক্ক হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, আদা যেহেতু মসলা জাতীয় ফসল, প্রত্যেকেই যদি বসত বাড়িতে কিংবা পরিত্যাক্ত জায়গায় বস্তা পদ্ধতিতে কিছু কিছু আদা চাষ করেন তাহলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন। কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মশালাগুলোতে এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.