আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদাসীনতায় সর্বত্রই ভেজাল ঔষধের ছড়াছড়ির অভিযোগ উঠেছে।
লালমনিরহাট জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরটির সুপার হাফিজুর রহমানকে দুষছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার প্রায় ২হাজার ঔষধের দোকান রয়েছে। তন্মধ্যে মধ্যে প্রায় ১হাজার ১শত ঔষধ দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও বাকী দোকানগুলো সবই অবৈধ ভাবে কমিশনের ভিত্তিতে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলার আনাচে-কানাচে প্রায় ঔষধের দোকানে ও গালামাল দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন বিহীন ভেজাল ঔষধ। বাহারী নামে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সুন্দর লেবেল লাগিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে যৌন উত্তেজক এই সব ঔষধ।
বাহারী নামে বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন বিহীন ওয়ান ফ্রুট সিরাপ, জিনসা, টাচ্ ফ্রুট সিরাপ ও ভিগোসা নামক যৌন উত্তেযক ঔষধ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক বলেন, অনুমোদন বিহীন ঔষধ মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যার প্রভাবে শরিরে নানা উপস্বর্গ দেখা দেয়।
প্রতিদিন উঠতি বয়সের ছেলে, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, অসচেতন নাগরিক এই সব ঔষধ ক্রয় করতে দোকানগুলোতে ভির করছে।
তালুক খুটামারা বত্রিশ হাজরীর ঈদ গাহ মাঠ সংলগ্ন বাবু, শহীদ শাজাহান কলোনীর বাদল ও রেল বাজার এলাকার শাহ আলম এই ৩জন সিন্ডিকেট করে পুরো লালমনিরহাট জেলায় গালামাল ও ঔষধের দোকানে এই অবৈধ সিরাপ সরবরাহ করছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় সাংবাদিকদের বলেন, অনুমোদন বিহীন যে কোন ঔষধ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
বিজ্ঞ মহল মনে করে এখনী এই ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে উঠতি বয়সের ছেলেরাসহ লালমনিরহাটে মানুষের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.