আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুলকে গত ১৩ জুন কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জানা যায়, লালমনিরহাটে ২০১৫ সালের ২৭ জুন আলোচিত যুবলীগ কর্মী ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলার সাক্ষী মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লুতুকে দিনদুপুরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়ের মামলায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হককে পুলিশ গ্রেফতার করে রোববার (১৩ জুন) বিকেলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
শুক্রবার (১১ জুন) দুপুরের দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বুড়ির বাজারে মোস্তাফিজুর রহমান লুতুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় এনামুল হকসহ ৯জনের নামে পরদিন শনিবার (১২ জুন) মামলা করেন আহতের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা। আহত মোস্তাফিজুর রহমান লুতু তিন দিন ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মামলার অন্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সদস্য ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব ও ফকরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলার প্রধান আসামী আমিনুল ইসলাম খান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১১ জুন) সকাল ১১টার দিকে বুড়ির বাজারে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সদস্য তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব তাঁর লোকজন নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান লুতুকে ধাওয়া করেন। এ সময় একজনের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাঁর হাত-পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রামদা, রড ও হাতুড়ি দিয়ে অসংখ্যবার আঘাত করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান লুতুকে বাঁচাতে বাজারের কয়েকজন এগিয়ে এলে তাঁদেরও ধাওয়া দেওয়া হয়। পরে রক্তাক্ত মোস্তাফিজুর রহমান লুতুকে পাশের একটি কিন্ডার গার্টেনের পেছনের পুকুর পারে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়। তাঁকে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফকরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতে সাক্ষ্য দিতে আমিনুল ইসলাম খান ও তাঁর লোকজন বারবার নিষেধ করে আসছিল মোস্তাফিজুর রহমান লুতুকে। তিনি তাতে সাড়া দেননি।
আরও জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান লুতুর দুই হাতে অন্তত ২২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। একটি পা ভেঙে গেছে, অন্য পায়ের হাড় ফেটে গেছে। এ ছাড়া মাথা ও শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান লুতুর স্ত্রী রেবেকা সাংবাদিকদের বলেন, তিন দিন ধরে আমার স্বামী সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে পড়ে আছে। এখনো আঘাতের স্থানগুলো থেকে রক্ত ঝরছে। আমি এ ঘটনার বাকি আসামীদের গ্রেফতারসহ ন্যায়বিচার চাই।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.