আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার প্রধান ২টি নদী তিস্তা ও ধরলা খুবই খরস্রোতা নদী। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গণ। প্রতিনিয়তই তিস্তা ও ধরলা পাড়ে নদী ভাঙ্গণে বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। ধরলা নদীর ভাঙ্গণে বাংলাদেশের ভূ-খন্ড কমে যাচ্ছে। চর জাগছে ভারতে।
জানা গেছে, ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি মাঝে মধ্যেই বেড়ে যায়। এতে প্রায় ৫০টি চরের কয়েক হাজার মানুষ বিপাকে পড়ে। তিস্তা ও ধরলা নদী ২টি খুবই খরস্রোতা। দেখা দিয়েছে স্রোত। এই স্রোতের কারণে তিস্তা ও ধরলা পাড়ে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গণ। নদী ভাঙ্গণে পরিবারের ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারা রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে পথে বসে। নিঃস্ব পরিবারগুলো আশ্রয়ের আশায় কেউ কেউ অন্যত্র নিকট আত্মীয়-স্বজনদের কাছে চলে যায়। কেউ কেউ উচুঁ বাঁধের রাস্তায় ও সরকারি জমিতে ঝুঁপড়ি ঘর তুলে আশ্রয় নিয়ে থাকে।
তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, খুনিয়াগাছ। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, বারোঘরিয়া, সর্দ্দার পাড়া র্স্পার। হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, ডাউয়ামারী, গড্ডিমারী, হলদিবাড়ি, পাটিকাপাড়া, পারুলিয়া।
ধরলা নদীর ডান তীরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কর্ণপুর, ৬মাথা, খারুয়া, শকুনের ঘাট, দূর্গাপুর, চর ফলিমারী, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী এলাকায় নদী ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।
মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর, চরফলিমারী, খারুয়ায়, চওড়াটারী, কুরুল, চর খারুয়া ধরলা নদীর স্রোতের টানে নদী ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। এখানে ধরলা নদী ভারত হতে প্রবেশ করে বাংলাদেশে ঢুকেছে। কয়েক বছর আগেও এই নদী ভারতের ভূ-খন্ডের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুলাঘাটে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে ছিল। কিন্তু এখন নদী ভারত হতে সরে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ধরলা নদীর ভাঙ্গণে ধরলা নদীতে থাকা ভারতীয় রেল সেতুটি এখন নদীর মাঝখানে পড়ে গেছে। দুই ধার দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে ভাঙ্গছে। বিশাল বিশাল গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। চর ফলিমারী ধরলা নদীর মাঝখানে পড়ে গেছে। চারি দিক দিয়ে ধরলা নদী প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে একটি দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। খারুয়া ও কর্ণপুরে ধরলা ভাঙ্গণে বাংলাদেশের মোগলহাট ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের ভূ-খন্ড কমে আসছে। ভারতে জাগছে বিশাল বিশাল চর।
এদিকে চর গোকুন্ডা এলাকার অভিযোগ শুষ্ক মৌসুমে একটি প্রভাবশালী চক্র তিস্তা নদীর ধারে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ছিল। ফলে বর্ষা মৌসুমে ওই সব স্থানে তিস্তা নদীতে ভাঙ্গণ দেখা দেয়।
এলাকাবাসী ভাঙ্গণ প্রতিরোধে তিস্তা নদীর বাম তীর ও ধরলা নদীর ডান তীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.