আলোর মনি রিপোর্ট: সংবাদ প্রকাশের জেরে রেজাউল করিম রাজ্জাক নামে এক সাংবাদিকের নামে সতর্কীকরণ নোটিশ পাঠিয়েছে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতাদের মাঝে নিন্দার ঝড় উঠছে।
গতকাল রোববার ৭ জুন রাতে তাকে নোটিশ পাঠানো হলে তা গ্রহণ না করে ফেরত পাঠান সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক।
সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক ওই উপজেলার বড় কমলাবাড়ী গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকার আদিতমারী প্রতিনিধি ও আদিতমারী প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আদিতমারী উপজেলার কুমড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজলের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অর্ধডজন সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক। সাম্প্রতি সময় ওই বিদ্যালয়ের জমি দখল নিয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপের সাথে বিরোধ বাঁধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। যা নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ রয়েছে সরকারী বিভিন্ন দফতরে। বিদ্যালয়ের জমি দখল হতে পারে মর্মে শনিবার ৬ জুন ৯জনকে বিবাদি করে আদিতমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন কুমড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিজ উদ্দিন। সেই জিডিতে ৭নং বিবাদি করা হয় সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাককে।
জিডিটি আমলে নিয়ে ওই দিনই আদিতমারী থানা পুলিশ সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাকসহ উভয় পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ জারি করেন। সেই নোটিশ গতকাল রোববার ৭ জুন রাতে সাংবাদিক রেজাউল ককরিম রাজ্জাককে পাঠানো হলে তিনি তা গ্রহণ করেন নি। ঘটনা জানাজানি হলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে নিন্দার ঝড় উঠে।
সাংবাদিক রেজাউল করিম রাজ্জাক বলেন, স্থানীয়দের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানান দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে অর্ধডজন সংবাদ প্রকাশ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিদ্যালয়ের অন্য ঘটনায় ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আমাকে জড়িয়ে জিডি করেছেন। তিনি উচ্চতর তদন্ত দাবি করেন।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগকারীর আশংকা মতে উভয় পক্ষকে সতর্কীকরণ নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তের কেউ জড়িত না থাকলে পরবর্তিতে তদন্তে তার নাম বাদ যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সতর্কী করণ নোটিশ করার এখতিয়ার রাখেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। নোটিশ থেকে সাংবাদিকের নাম বাদ দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।