আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন ফার্মেসীর দোকানে দোকানে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল, নিম্নমানের ঔষধ। এক শ্রেণির অসাধু ডাক্তার-ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এ সব ঔষধ বাজারে সরবরাহ করছেন। চাকচিক্য মোড়ক ব্যবহার করে স্বনামধন্য কোম্পানীর নামে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের ঔষধ।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সব ঔষধ ব্যবহারে মানুষ সুস্থ্য হওয়ার পরিবর্তে আরও নানান জটিল জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ড্রাগ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে মানহীন ঔষধ কিছু অসাধু কোম্পানী বিপণন করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেট্টানিডাজল-৫০০মি.লিপ্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ১টাকা ৩০পয়সা। অথচ এই নামের নকল ঔষধ ২০ হতে ২৫পয়সায় কিনে ১টাকা ৩০পয়সায় বিক্রয় করছে অনেকে। কিটোরোলাক ব্যাথানাশক প্রতিটি ১০মি.লি ট্যাবলেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২০টাকা। কিন্তু একই রকম প্যাকেটে নিম্নমানের এ ট্যাবলেট ১টাকা দরে কিনে ২০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। একই ভাবে দামি কোম্পানির নক মোড়কে বিক্রি হচ্ছে ভিটামিন ভিট, বলারিস্ট, নিরাময়, ওসাকা, বডি ফিল্ডার। এজিথ্রোমাইসিন নামক এন্টিবায়োটিক প্রতিটির বাজার মূল্য ৩৫ হতে ৫৫টাকা কিন্তু নকলটি ২টাকা করে কিনে ৩৫টাকায় বিক্রয় করছে অনেকে। এমনকি শহর ও গ্রামের পান, বিড়ি, মুদির দোকানেও এ নিম্নমানের এজিথ্রোমাইসিন পাওয়া যায়।
আরও অনুসন্ধানে জানা যায়, অখ্যাত কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা ঔষধ বিক্রেতা-ডাক্তারদের বিভিন্ন উপঢৌকন, নগদ টাকাসহ নানা সুবিধা দিয়ে থাকেন। আর এ সব কোম্পানির ঔষধ বিক্রি করে বিক্রতারাও অধিক মুনাফা অর্জন করছেন।