হেলাল হোসেন কবির: লালমনিরহাট জেলা সদরের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪০হাজার মানুষ জিম্মি মতিয়ার রহমান রিপনের কাছ। এ নিয়ে বেশ অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ইউনিয়নের ২৭হাজার ৫শত ৮৭জন ভোটার ও ১২হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। তাদের সকলকেই ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মতিয়ার রহমান রিপন (৩৮) সরকার নির্ধারিত ফি এর দশ গুণ অতিরিক্ত টাকা দিয়েও জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে ভোগান্তিতে রেখে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে ইউনিয়নের বাসিন্দারা অতিরিক্ত ফি আদায় এর জন্য ইউনিয়ন পরিষদে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মতিয়ার রহমান রিপন একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ এর জন্য দাবী করছেন ৪০০-৯০০টাকা। যেখানে সরকার নির্ধারিত ফি, জন্ম থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ২৫টাকা, পাঁচ বছর তদূর্ধ্ব ৫০টাকা এবং তারিখ সংশোধনী ফি ১০০টাকা বিধি থাকলেও সেখানে টাকা নেন ১হাজারের উপরে।
তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে সাংবাদিকরা গেলে রিপনের বড় ভাই লুটু এসে সাংবাদিকদের ম্যানেজও করতে চান!
ইউনিয়নের সাতপাটকী এলাকার জামাল হোসেন জানান, দুটি জন্ম নিবন্ধন সনদ এর জন্য তাকে গুনতে হয়েছে ৮০০টাকা কিন্তু তারপরেও সনদ পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাকে।
মনোরম গ্রামের বসিন্দা পুষ্প চন্দ্র জানায়, মৃত্যু সনদ তুলতে অনেক ঘুরেফিরে ৯শত টাকা নিয়ে কাজ করে দিয়েছে এই রিপন।
কাশিপুর গ্রামের আনারুল জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মতিয়ার রহমান রিপন উপরি টাকা ছাড়া কোন কাজই করেনা সেই টাকা নিয়ে মাদকের উপর থাকে সারাক্ষণ।
কিশামত ঢঢ গাছ এলাকার বাসুদেব বলেন, রিপন খুব ঝামেলাবাজ গভীর রাতে সে মাদকের আসর বসান ইউনিয়ন পরিষদে।
মকড়া ঢঢ গাছ এলাকার মশিউর রহমান বলেন, কিছু আগে জম্ম সদন নিতে গেলে রিপন ৫শত টাকা দাবি করে পরে চেয়ারম্যানকে বললে উল্টো চেয়ারম্যান বলেন কম বেশি করে দিয়ে কাজ করে নাও।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বসুনিয়া স্বপন বলেন, আমার কাছে যারা আসেন তাদেরকে বলি রিসিভ নিয়ে কাজ করতে কিন্তু জনগন তা করে না। বা আমার কাছে সরাসরি না এসে সোজা তথ্য সেবায় যায়। সে কারনে বলা মুশকিল।
ভুক্তভোগীরা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মতিয়ার রহমান রিপনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট পরে কথা হবে বলে গা ঢাকা দেন।
উক্ত ঘটনায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় জানান, বিষয়টি জানতে পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।