আলোর মনি রিপোর্ট: বন্যার পানি নেমে গেছে সেই ২০১৭ সালে। কিন্তু এখনও সেই বন্যার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে ক্ষতিগ্রস্ত ঘুঘুজান ব্রীজ। বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া ঘুঘুজান ব্রীজ পড়ে আছে তেমনই। অনেক এলাকাতেই এখনও শুরু হয়নি কোনও ধরনের সংস্কার কাজ। নানা ধরনের জটিলতায় ঘুঘুজান ব্রীজ সংস্কার শুরু না হওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ এখন সীমাহীন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
জানা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ঘুঘুজান ব্রীজের মতো অবকাঠামো সংস্কারের কাজে গতি নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের খোলাহাটি-আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ঘুঘুজান গ্রামে কাঁচা সড়কে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘুঘুজান ব্রীজ এখনও সংস্কার হয়নি। তবে ঘুঘুজান ব্রীজের একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন এলাকাবাসী। ফলে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন। বন্যার পানির তোড়ে এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বেহাল সড়কে যান চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। ত্রিমোহনী ব্রীজ হইতে ঘুঘুজান ব্রীজ পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি যেন মৃত্যুর ফাঁদ। এখনও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কোনও সংস্কার হয়নি।
শুধু ঘুঘুজান নয়, লালমনিরহাটে বন্যা কবলিত ৫টি উপজেলার প্রতিটিতেই কমবেশি একই অবস্থা। এসব সড়ক মেরামত বা সংস্কারের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে এবং কবে নাগাদ মানুষের দুর্ভোগ কমবে, তা বলতে পারছেন না কেউ।
খোলাহাটি গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, বন্যায় ধসে যাওয়া খোলাহাটি-ঘুঘুজান সড়কের ঘুঘুজান ব্রীজ এখনো মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি সাধারণ মানুষের। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার। প্রায় ৪বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ব্রীজটির বেহাল অবস্থা। এ দুর্ভোগের দ্রুত অবসান চাই।
উল্লেখ্য যে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ১শত ১৫টি গ্রামীণ সড়কের ১শত ৮৪কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ৫৩টি ব্রীজ/ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এসবের অধিকাংশই এখনও মেরামত করা হয়নি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.