বই পরিচিতিঃ মো. রেদওয়ানুল ইসলামের (হাতের মুঠোয় অবাধ্য আমি)।
হাতের মুঠোয় অবাধ্য আমিঃ মো. রেদওয়ানুল ইসলাম। গ্রন্থস্বত্বঃ লেখক। প্রকাশকালঃ একুশে বইমেলা ২০২১। প্রকাশকঃ নেসার উদ্দীন আয়ূব, মাতৃভাষা প্রকাশ, ১১, পি. কে. রায় রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। ফোনঃ ০১৭১২৯৬৪৬৩৬, matrivashaprokash@gmail.com, প্রচ্ছদঃ এম. আনসার উদ্দীন। বানান সংশোধনঃ রুবেল বিশ্বাস। বর্ণবিন্যাসঃ একুশে কম্পিউটার। মুদ্রণঃ রোকেয়া প্রেস, ৭, হেমেন্দ্র দাস লেন, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০। বাঁধাইঃ মায়ের দোয়া বুক বাইন্ডিং, ২৯/১, রূপচাঁন দাস লেন, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০। মূল্যঃ ২৩০টাকা। ভারতঃ ২৫০রুপি, বহির্বিশ্বঃ $ 5, পৃষ্ঠাঃ ৮০। ISBN 978-984-34-7146-8, উৎসর্গঃ বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। বাবার মৃত্যুর পর সব জায়গায়ই নিজেকে অনিরাপদ মনে হয়। বাবা মানে মাথা উপর ছাদ, বাবা মানে বিশাল আকাশ, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শক্তির নাম বাবা। বাবা তোমাকে...। কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ জীবনে চলার পথে শুধু একটু উৎসাহ মানুষকে যে কতদূর নিয়ে যেতে পারে তা কল্পনাতীত। কবিগুরু বলেছেন, 'এমন গরিবও আছে যাহারা প্রাণ খুলিয়া পরের প্রশংসা করিতে পারে না।' আমাকে লেখার ব্যাপারে যারা সর্বদা উৎসাহিত করেছেন এবং কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করতে সাহস জুগিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা- ভাই মৃত এরশাদুল হক, ভাই মো. এমদাদুল হক, সহধর্মিনী সাইয়ারা সাফায়েৎ, ভাতিজা তৌফিক, তানজিত ও ভাগ্নে ফরহাদ, বন্ধুবর ছোটভাই মো. ইমরান হোসেন (ডেভিড)। যাদের সাহচর্যে লেখালিখি- নাট্যকার বন্ধু মমর রুবেল, সালাউদ্দিন রাব্বি, আসাদ, রাকীব ফরাজী, রাজীব, রিফাত ও কিশোর কুমার এবং সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে নির্বিঘ্নচিত্তে কৃতজ্ঞতা। সবিশেষে 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির'-এর উন্মেষিত হওয়ার আকুল ইচ্ছে নিয়ে ভালোবাসার সবাইকে নিয়ে যেতে চাই বহুদূর। কবি মো. রেদওয়ানুল ইসলাম 'হাতের মুঠোয় অবাধ্য আমি' কাব্য গ্রন্থে মোট ৪৬টি কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতার নামগুলো হলো- আমি, মধুকর ও নিচুল ফুল, ক্ষণিক ক্ষয়ে অনেক নষ্ট, অন্ধকারে মিশে যাক, তুমি নামের সকল দুঃখ!, আমরা সবাই আমি, বহুদিন মানুষ দেখি না, গৃহহারা কষ্ট, সবকিছু বিক্রিযোগ্য, ঘুমালে রক্ত দেখি, কেউ না কেউ একটি কবিতা লিখবেই, আলো-আঁধারি, পরাজয়, একটি কবিতা লিখতে চাই, আহা জীবন!, দিবি একটা ডাক, কবি ও কবিতায়, দেনা, ডাকিতেছে মহাকাল, শুধু একমুঠো ভাত, এক চিমটি ভাবনা, আবার ভাবাবো আমি, কবিতা মিথ্যা বলে না, সাপবিদ্যা ও মায়াবিনী, গোলপোস্ট, সাধ ও সাধ্য!, জাল, আপনজন, নামহীন অনামা, ভালো আছ-যাই, চার তলা থেকে ফেলে দেবে, ভোরবেলায়, ভালোবাসনি বলে, রত্নাই নদী, লাল পরি কবিতা তোমার, ইহা কবিতা নয়, জানাব বিদায়, এ গল্প অসহায়ের গল্প, ক্ষতি ক্ষত, অপেক্ষা নেই, ব্যর্থতা তোমার, অনাদরের অবহেলা, ঝড়, ফিরিয়ে নিলাম ভালোবাসা, শুধু একবার এসে বল, দাঁড়াও পথিক, আজীবন যুদ্ধ চাই কবিতাগুলো স্থান করে নেয়।
কবি পরিচিতিঃ মো. রেদওয়ানুল ইসলাম। জন্মঃ ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৬। গ্রামঃ শিবেরকুটি, থানাঃ লালমনিরহাট, জেলাঃ লালমনিরহাট। বাবাঃ রমজান আলী। মাঃ মেহেরুন নেছা খানম। সহধর্মিনীঃ সাইয়ারা সাফায়েৎ। সন্তানঃ সুহাইল ইসলাম (সৌন্দর্য)। শিক্ষাঃ বিএসসি (সম্মান), এমএসসি (পরিসংখ্যান), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। পেশাঃ সরকারি চাকরি, কাস্টমস ও ভ্যাট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
উল্লেখ্য যে, প্রকৃতির সাথে মানুষের বেড়ে ওঠা। গ্রাম্য আবহে রত্নাই নদীর তীরে এক নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশে কেটেছে লেখকের শৈশব। সেখানেই লেখকের লেখালেখির হাতেখড়ি। কবিতায় যেমন প্রেম ও ভালোবাসা রয়েছে, তেমনি রয়েছে লেখকের দহনের কথাও। দেখা মানুষগুলো প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে তাদের চরিত্রও। মানুষের মাঝে মানবিক চরিত্র অনুপস্থিত। প্রতিযোগিতা কেবল নিজেকে বড় ভাবার ও আত্মঅহংকারের। কবি এসব অসংগতি ফুটিয়ে তুলেছেন অত্যন্ত নিপুণভাবে।
বৃক্ষ যেমন ভূমিষ্ঠ হয়ে অরণ্যের স্বপ্ন দেখে, তেমনি মানুষও জন্মগ্রহণ করে খোঁজে আত্মার আত্মীয়। কিন্তু আজ কেউ কারও আপন হচ্ছে না, সমাজ যেন আজ মানুষ শিকারের জাল। বিশাল বড় অট্টালিকা বন্ধ দরজা বড় বড় তালায়, এর মাঝেও মানুষ অনিরাপদ, নিঃসঙ্গ। এসব ভাবনায় লেখকের দহন। এ দায় কারও কাছে দিতে না পেরে লেখকের একখণ্ড লেখা। লেখক কারও হাতের মুঠোয় থাকতে পারবেন না, তাই 'হাতের মুঠোয় অবাধ্য আমি'।
কবির একটি কবিতা নিম্নে উদ্ধৃত হলো-
আমি
মো. রেদওয়ানুল ইসলাম
আমি চৈতালি মাস, রাতের আকাশ কিংবা শীতের নদী।
কাঠফাটা রোদেও, চৈত্র মাসেও, কৃষকের হাসি।
গভীর রাতে, আকাশের পটে তারার ঝিলিক।
শীতকালে তবে নদীর কাছে হাঁটুজল পেয়ে
কিশোর-কিশোরীর অগাধ খুশি।
আমি দিয়ে যেতে চাই, যাইবা হারাই নিজের কাছে।
চৈত্র মাসে তপ্ত রোদে, নিজে জ্বলে তবু
হাসিতে থাক পাকা ধান দেখে, কৃষকের মুখ।
সেইখানে আমি দিয়ে যাব মোরে কৃষকের মুখে
কিনিতে সে হাসি দিয়ে যাব সবি, হারাইয়া মোর সুখ।
গভীর রাতে নির্ঘুম চোখে নিঃসঙ্গতায় খাঁ খাঁ পড়ে রয়।
তারাদের ঝিলিক তবু দেয় দিক আলো দিক পথ
রাত জাগা পাখি, পথহারা পথিক আর ঐ প্রেমিকেরে।
দিয়ে যাব তাতে পথের দিশা, দিয়ে যাব গান প্রেমিকের।
রাত জাগা পাখি, জেগে থাক তবু নির্ভয়ে নির্ভীক।
শীতকালে নদী হারিয়েছে দিক, হারিয়েছে তার দেহ।
হারাক সবি, তবু রচে যাব আনন্দ তব দেহমনে
কিশোর-কিশোরী নাচিবে সেথায়, পার হয়ে যাবে গাড়ি।
দুই ধার তার রচিব আবার একরাশ সাদা
শরৎবেলার কাশফুল বন।
তাই করে যেন চলে যায় মোর আদি, মধ্য ও শেষকাল।
১১/১২/২০১৭, শিবেরকুটি, লালমনিরহাট।
-
'হাতের মুঠোয় অবাধ্য আমি' কাব্যগ্রন্থটি সহজবোধ্য ভাষায় রচিত। সেই সাথে কাব্যগ্রন্থটি প্রশংসার দাবী রাখে। আমার বিশ্বাস মো. রেদওয়ানুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ সর্বমহলের পাঠক দ্বারা সমাদৃত হবে। দীর্ঘজীব হোক কবি, সমৃদ্ধ হোক তাঁর কবিতা।
-গ্রন্থনাঃ মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.