আলোর মনি রিপোর্ট: সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাত কর্মসূচির আওতায় লালমনিরহাট জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ৪শত ৫টি ওয়ার্ড ও ২টি পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে মোট ১লক্ষ ৩১হাজার ৪শত ৩০জন ভাতাধারীকে তাদের ব্যক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের আগেই ৩হাজার টাকা করে মোট ৩৯কোটি ৪২লক্ষ ৯০হাজার টাকা পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এ খাতের ভাতা ভোগী ব্যক্তিদের হাতে লেখা অ্যানালগ বই নিয়ে ব্যাংকে কিংবা স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য আর ধরনা দিতে হচ্ছে না।
লালমনিরহাট সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ‘জি টু পি’ প্রকল্পের আওতায় জেলায় বয়স্ক ভাতাভোগী ৬৮হাজার ৭শত ৭৮জন, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা ভোগী ৩৮হাজার ৪শত ৮৯জন ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী ২৪হাজার ১শত ৬৩জনকে সরকার বিকাশের মাধ্যমে তাদের ভাতা পরিশোধ করতে শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নেয়ার চূড়ান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত ১৪ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নে প্রথম পাইলট প্রকল্প হিসেবে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেই পাইলট প্রকল্প শেষে এবার বয়স্ক, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতাপ্রাপ্ত সুবিধা ভোগীদের চূড়ান্ত পর্যায়ে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে জেলার মোট ১লক্ষ ৩১হাজার ৪শত ৩০জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভাতাধারী সুবিধাভোগী ৭২হাজার জনের মোবাইল নম্বরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট চালু করে টাকা পাঠানোর জন্য তালিকা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ৫৯হাজার ৪শত ৩০জনের মোবাইল নম্বরেও বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার কার্যক্রম গতকাল পর্যন্ত ৮০শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, এবারের ঈদ উল ফিতরের আগেই ভাতা ভোগীদের টাকা তাদের নিজ নিজ বিকাশ অ্যাকাউন্টে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ ডিজিটালাইজেশন অটোমেশন সিস্টেম চালু হলে ভাতা ভোগীদের টাকা আত্মসাতের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না। এটি সরকারের একটি মাইলফলক সফলতা হয়ে থাকবে।