শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
এটিএন নিউজ আমার নবম প্রতিষ্ঠান

এটিএন নিউজ আমার নবম প্রতিষ্ঠান

প্রভাষ আমিন:

 

এটিএন নিউজ আমার নবম প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মজাটা হলো, আমার ক্যারিয়ারের তিন ভাগের এক ভাগ কেটেছে এখানেই। বন্ধুরা আমার বিরুদ্ধে ঘন ঘন হাউস বদলের অভিযোগ আনতেন। সেই বদনাম আমার ঘুচেছে অনেক আগেই। আর ঘুচিয়েছে, এটিএন নিউজ। কেউ জানতে চাইতে পারেন, এটিএন নিউজে কী এমন জাদু আছে? আমার সহকর্মীদের কেউ এটিএন নিউজ ছাড়তে চাইলে তাকে আটকে রাখার জন্য আমি যেটা বলি, সেটাই বলছি, এখানে মোহটা টাকা-পয়সার নয়। এটিএন নিউজের আকর্ষণটা আসলে ভালোবাসার। ভালোবাসা কম বেশি নিশ্চয়ই সব প্রতিষ্ঠানেই আছে। তবে এটিএন নিউজের বৈশিষ্ট্যটা হলো, এটা আসলে নিছক একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান নয়, এটি কর্মীদের জন্য পরিবারের মত। আমার জন্য এটা আরো বেশি করে সত্য। এটিএন নিউজ আমার পরিবারের অংশ। পরিবারের মতই হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান সব মিলিয়েই কেটেছে একটি দশক।

এটিএন নিউজ যে একটি পরিবার তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ঈদ, পূজা, নববর্ষ, ফাল্গুনে অফিসে যে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে, তা দেখে আমার স্ত্রী মুক্তি বলেন, তোমরা কাজ করো কখন। কিন্তু মজাটা হলো, কিছুক্ষণের মধ্যে সেই হিড়িকে যোগ দিতে তিনিও অফিসে চলে আসেন। আমাদের আসলে আনন্দ করার জন্য উপলক্ষ্য লাগে না। আমরা উপলক্ষ্য বানিয়ে নেই। আমরা বৃষ্টি হলে মজা করি, আর বৃষ্টি না হলে। তবে এই করোনাকালে এটিএন নিউজ পরিবার পারিবারিক বন্ধনের যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তার কোনো তুলনা নেই। আমাদের রিপোর্টার আশিকুর রহমান অপু করোনা পজিটিভ হওয়ার পর অন্তত ৩০জন কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হয়েছিল। সেই দুঃসময়ে বাকি কর্মীরা যে সাহসের সাথে দিনরাত পরিশ্রম করেছে, তা আমাকে নতুন করে ভাবিয়েছে। অনেক অফিসের লোক যেখানে ফাঁকি দিতে নানা বাহানা তৈরি করেছে। আমাদের কর্মীদের সেখানে জোর করে বিশ্রামে পাঠাতে হয়েছে। ডে-অফ’এর দিন সকালে ফোন করে খোঁজ নিয়েছে, আসতে হবে নাকি। এমন একটি সাহসী, আন্তরিক, প্রাণবন্ত পরিবারের সাথে কাজ করতে পারা সত্যি গর্বের।

এটিএন নিউজে আটকে থাকার আরেকটি কারণ অবশ্যই মুন্নী সাহা। মুন্নী যতটা আমার বস, তারচেয়ে বেশি বন্ধু। সবসময় সব বিপদে পাশে থাকা বন্ধু। এক বন্ধু দিবসে মুন্নী আমাকে লিখেছিল, ‘আমি বিপদের দিনের তোর পাশে থাকবো না। সবসময় পাশে থাকবো, যাতে কখনো তুই বিপদে না পড়িস।’ এটা নিছক কথার কথা নয়। সত্যিই সে সবসময়ই পাশে থাকে। আর পাশে থাকে বলেই আমি নিশ্চিন্তে অনেক কাজ করতে পারি। আবার চিৎকার করে রাগটা ঝাড়তে পারি মুন্নীর ওপরই।

শুধু যে পরিবার হযে একসাথে থেকেছি তা নয়। এই ১০বছরে আমরা সাংবাদিকতাটাও করেছি নিষ্ঠা ও বস্তুনিষ্ঠতার সাথে। আমরা কখনো টিআরপির পেছনে দৌড়াইনি। কোনো রেসে অংশ নেইনি। সবসময় সহকর্মীদের বলেছি, আপনারা নিশ্চিত না হয়ে কোনো নিউজ দেবেন না। আমরা কখনো লাশ, রক্ত বা বীভৎস কোনো ছবি দেখাই না। এটিএন নিউজকে অনেকে বলেন, কুটিরশিল্প। গায়ে গা লাগা ছোট অফিস, কারিগরী সীমাবদ্ধতা সত্বেও আমাদের অর্জনও নেহায়েত কম নয়। সবচেয়ে বড় অর্জন অবশ্যই দর্শকদের ভালোবাসা।

জন্মদিনে কথা দিচ্ছি, এটিএন নিউজ দর্শকদের সেই ভালোবাসা আর আস্থার মর্যাদা রাখবে। সাধারণ মানুষের চ্যানেল, সাধারণ মানুষের কথাই বলবে সবসময়।

 

লেখক : সাংবাদিক।

 

(প্রভাষ আমিন-এর ফেসবুক থেকে।)

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone