আলোর মনি রিপোর্ট: পাট এক সময় সোনালী আঁশ নামেই সর্বাধিক সু-পরিচিত ছিলো। পাটের আর এখন সেই সুদিন নেই। তারপরেও এবার লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় দেশি, তোষা ও মেস্তা জাতের পাটের আবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর পাটের দাম ভালো পাবেন এমনটাই আশা করছেন পাট চাষি কৃষকরা।
কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি গ্রামের পাট চাষী রেজাউল করিম বলেন, সরকার পাটের বাজার দর কত আগে ভাগে বলে না। তাই এবার দাম পেলে সামনের বার বেশি করে আবাদ করবো।
শুধু রেজাউল করিমই নয়, একই কথা বললেন কোদালখাতা গ্রামের পাট চাষি সুধীর চন্দ্র রায়, কমল কান্তি বর্মণ ও ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি। তারা বলেন, গ্রামের দালাল ফরিয়ারা আমাদের কাছ থেকে ১হাজার ৪শত টাকা দরে প্রতিমণ পাট কিনে নেয়। স্টক করে রেখে ওরা লাভবান হয়। আর আমরা কমদামে পাট বিক্রি করে পুরো দমে লোকসানে পড়ি। সরকার আগে থেকে পাটের ন্যায্য মূল্য অন্তত ২হাজার থেকে ২হাজার ৩শত টাকা নির্ধারণ করলে কৃষকেরা লাভবান হতো।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, পাটের আগাম বাজার মূল্য নির্ধারণের জন্যে তাদের পক্ষ থেকে সরকারকে অবগত করা হয়ে থাকে।
পাটের বাজার মূল্য সম্পর্কে কৃষক হাসান আলী বলেন, পাটের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে পাটের আগাম বাজার মূল্য নির্ধারণ করা খুব জরুরি। পাটের ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকেরা আবারও পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। নইলে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা ফায়দা লুটবেন। এ থেকে কৃষকদের বাঁচাতে হবে।